অনেক সময়ই বাড়তি টাকার প্রয়োজন হয়। সেটা কোথাও ঘুরতে যাওয়া হতে পারে কিংবা বিয়ের মতো অনুষ্ঠান, গ্যাজেট বা পছন্দের আসবাবপত্র কেনা কিংবা বাড়ি মেরামতির জন্য। এই নগদ প্রয়োজন মেটাতে অনেকে ক্রেডিট কার্ডে উপর নির্ভর করেন। আবার কারও পছন্দ পার্সোনাল লোন (Personal Loan)।
ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোন, দুটিতেই ধারের সুবিধা মেলে, যদিও তাদের কাঠামো আলাদা। ক্রেডিট কার্ডে বারবার ধার নেওয়া যায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদ সমেত তা ফেরত দিতে হয়। অন্যদিকে পার্সোনাল লোনে ঋণগ্রহীতাকে একবারই মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়। এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই টাকা সুদ সমেত পরিশোধ করতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Alert: তাপপ্রবাহ জারি নদিয়াতেও, হিটস্ট্রোক এড়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শ
কোনটায় সুবিধা বেশি: এখন ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি বিদেশে ছুটি কাটানো, একটি স্মার্ট ফোন কেনা এবং বাড়ি মেরামতির জন্য ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। ওই ব্যক্তির মাসিক আয় ৮০ হাজার টাকা। এখন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেউ বিমানের টিকিট কিনতে, হোটেল বুক করতে, স্মার্টফোন কিনতে এবং বাড়ি মেরামতির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য টাকা মেটাতে পারেন।
আরও পড়ুন - Government Job-র প্রতিশ্রুতিতে টাকা, ফেরত চাইলে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি, ভাইরাল ভিডিও
ক্রেডিট কার্ড লেনদেনগুলিকে সমান মাসিক কিস্তিতে ভাগ করা যায়। যা পর্যায়ক্রমে ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটার সঙ্গে বিল করা হবে।
অনেক ব্যাঙ্ক প্রসেসিং ফি ছাড়াই বড় লেনদেনকে ছোট ইএমআই-তে ভাগ করার অনুমতি দেয়। ধরা যাক, ৬ রাত ৭ দিনের বিদেশ ভ্রমণের জন্য হোটেল বুকিং বিমানের টিকিটের মূল্য ২.৫ লাখ। এবার এটা ২ বছরের জন্য ১৪ শতাংশ সুদের হারে ইএমআই-তে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১২,০০৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, স্মার্টফোনটি ৯০,০০০ টাকায় কেনা হয়েছে এবং তা ১২ শতাংশ হারে ১২ টি ইএমআইতে শোধ করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৭,৯৯৬ টাকা দিতে হবে। বাড়ি মেরামতির ১.৬ লক্ষ টাকা ১৪ শতাংশ হারে ১২টি ইআইতে মাসিক ১৪,৩৩৬ টাকা দিতে হবে।
ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এই পরিস্থিতিতে কোনও ব্যক্তি দুই বছরের জন্য ১৪ শতাংশ হারে ৫ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ নিলে, মাসিক ২৪,০০৬ টাকা ইএমআই দিতে হবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, ক্রেডিট কার্ডের থেকে পার্সোনাল লোনে সুদের হার বেশি দিতে হয়। কারণ ব্যক্তিগত ঋণে ২৪ মাসে ৫ লক্ষ টাকা শুধতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে অপেক্ষাকৃত কম হারে ১২টি ইএমআই-তে শোধের সুযোগ মিলছে।