হ্যাচারি মালিক শাহির হোসেন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই ব্যবসা করে আসছেন। ধীরে ধীরে তিনি এই ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন। প্রথমে শুধুই বাড়িতে তাঁদের এই ব্যবসার কর্মকাণ্ড ছিল। বর্তমানে আরেকটি নতুন জায়গা তাঁরা তৈরি করেছেন। মূলত মাছের ব্রিড আলাদা আলাদা ভাবে রাখতে এই জায়গা আলাদা করার প্রয়োজন রয়েছে। মাছের ডিম পাড়ার জায়গা এবং মাছের পোনা রাখার জায়গা আলাদা করেছেন তিনি। এতে অনেকটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকছে। এছাড়া ডিম পোনা রাখার জলের একটা আলাদা ব্যপার রয়েছে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “অনেকে নদীর জল ব্যবহার করেন। আবার অনেকে পুকুরের বা শ্যালো ওয়াটার। তবে যে কোনও একধরনের জল ব্যবহার করা উচিত। না হলে মাছের চারা পোনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এছাড়া পরিমাপের পর প্যাকেট বন্দী করার সময়েও মাছের জাত আলাদা আলাদা করে রাখা উচিত। জলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপ্লাই দিয়ে রাখতে হয়। এছাড়া মাছের গুণগত মান ভাল রাখতে মাছের ডিম পাড়ানোর ইনজেকশন দেওয়ার আগে কিছুটা রেস্ট করিয়ে নিতে হয়। তাহলে মাছ ভাল ভাবে ডিম দিতে পারে। এবং চারার কোয়ালিটিও ভাল হয় অনেকটাই।”
আরও পড়ুন: PPF-এ পাবেন দ্বিগুণ সুদ, এই ছোট কৌশলই হবে কামাল, জানুন বিশদে
হ্যাচারি ব্যবসায় লাভ রয়েছে বেশ ভাল পরিমাণ। তবে এই ছোট ছোট বিষয় গুলির ওপর খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। নাহলে ব্যবসায় লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয়। এছাড়া এই ব্যবসায় দীর্ঘ মেয়াদী সময় পর্যন্ত বাজারে টিকে থাকতে হলে কোয়ালিটি ও দামের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। নাহলে অধিক পরিমাণ মুনাফা হবে না এই ব্যবসা থেকে।
Sarthak Pandit





