TRENDING:

FD-মিউচুয়াল ফান্ডে নয়; বরং বিনিয়োগ করুন এই গাছের উপর! একটু ধৈর্য রাখলেই হাতে আসবে কোটি কোটি টাকা!

Last Updated:

বিষয়টাকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা:  অনেকেই অল্প সময়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। আর তা করতে গিয়েই তৈরি হয় নানা বিপত্তি। তাই অনেকে আবার স্টক মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা এফডি-তে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে থাকেন। আসলে কয়েক ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে আসে ঝুঁকিও।
advertisement

তবে সম্পূর্ণ ঝুঁকিহীন ভাবে দীর্ঘমেয়াদে স্বল্প বিনিয়োগ করে কোটিপতি হওয়ার একটা উপায় রয়েছে। আর সেটি হল চন্দন গাছ। শুনলে হয়তো অবাক হবেন যে, এই গাছ লাগালে কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু কীভাবে? সেই কথাই আজ শুনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন: NSC থেকে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা; বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ৬ সরকারি স্কিম!

advertisement

স্টক মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ না করতে চাইলে চন্দন গাছের বাগান করা যেতে পারে। বিষয়টাকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং বিনিয়োগের পরিমাণও স্বল্প। ধৈর্য রেখে গাছ বড় করলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যাবে।

চন্দন গাছ চাষের আদর্শ সময়:

যাঁরা জৈবিক প্রক্রিয়ায় চন্দন চাষ করেন, তাঁরা ১০-১৫ বছরের মধ্যে কাটার জন্য উপযুক্ত কাঠ পেয়ে যেতে পারবেন। তবে পরম্পরাগত ভাবে চন্দন গাছ বড় করতে ২০-২৫ বছর সময় লাগতে পারে। আবার চন্দন কাঠের প্রকারভেদও রয়েছে। লাল এবং সাদা অথবা হলুদ – এই দুই ধরনের চন্দন কাঠ হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: Pan-Aadhaar লিঙ্ক তো করালেন, কিন্তু কাজটা আদৌ হল তো? সেটার প্রমাণ পাবেন কীভাবে?

দক্ষিণ ভারতে লাল চন্দন এবং উত্তর ভারতে সাদা চন্দন জন্মায়। এই গাছ চাষের জন্য খুব বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় না। চন্দন গাছের থেকে ৩-৪ ফুট দূরত্বে অন্য যে কোনও গাছ লাগানো যেতে পারে। কারণ চন্দন শুধুমাত্র অন্যান্য গাছ থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, চন্দন গাছের আশপাশে কোনও রকম দূষণ হলে চলবে না। কারণ দূষণের জেরে এই গাছ বাড়তে পারে না।

advertisement

বিনিয়োগ এবং আয়:

চন্দন গাছ যত বেশি জায়গা জুড়ে লাগানো হবে, তত বেশি লাভ হবে। এখানে ১ হেক্টর অনুযায়ী লাভ এবং ব্যয়ের হিসেব বলা যাক। দুই থেকে আড়াই বছর বয়সী একটি চন্দন গাছ সাধারণত ১৫০-২০০ টাকায় পাওয়া যায়। ১ হেক্টরে মোট ৬০০টি গাছ লাগানো যেতে পারে। আর গাছটি বৃদ্ধির পরে ১০-১৫ বছরের মধ্যে কাঠের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে।

advertisement

প্রতিটি গাছের কাঠের দাম উঠতে পারে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এবার ধরা যাক, কেউ যদি ২ লক্ষ টাকাতেও একটি গাছের কাঠ বিক্রি করেন, তাহলে তিনি ৬০০টি গাছ থেকে মোট ১২ কোটি টাকা আয় করতে পারবেন। তবে যদি গাছ ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০ কোটি টাকা। আর আমরা সকলেই জানি যে, কোনও মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা এফডি-ও এতটা রিটার্ন দিতে পারে না।

সরকারি সাহায্য:

এক সময় চন্দন চাষের ক্ষেত্রে একটা সীমাবদ্ধতা ছিল। এখন সরকার এই চাষের অনুমতি দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ২৮-৩০ হাজার টাকা অনুদানও দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্য কৃষকদের এই চন্দন কাঠ বিক্রি করতে হয় সরকারের কাছেই।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এই কারণে অনেক সময় কৃষকরা চন্দন গাছের চাষ করতে চান না। আরও নানা কারণও রয়েছে। যেমন – কৃষক চন্দন গাছ নিজে কাটতে অথবা ব্যবহার করতে পারবেন না। এর জন্য বন বিভাগকে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে। ওই দফতরের কর্মকর্তারা এসে কৃষকের কাছ থেকে চন্দন গাছ কিনে কেটে নিয়ে যান।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
FD-মিউচুয়াল ফান্ডে নয়; বরং বিনিয়োগ করুন এই গাছের উপর! একটু ধৈর্য রাখলেই হাতে আসবে কোটি কোটি টাকা!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল