স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন, আগে আলু তোলার পর সেই জমিতে তিল চাষ করতেন তাঁরা। তবে বিগত সাত-আট বছর ধরে তিলের পরিবর্তে তরমুজ চাষ করছেন, কারণ এতে লাভ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
উন্নতমানের বিভিন্ন জাতের বীজ যেমন ক্যাণ্ডি, মেলোডি, টোকিয়া ও বঙ্কিম ব্যবহার করে শতাধিক বিঘা জমিতে এই চাষ হয়েছে। তরমুজ চাষি পলাশ কুমার বাগ জানিয়েছেন, এই চাষে খরচ একটু বেশি হলেও লাভ ভাল হয়। তবে লাভ হবে না হবেনা সেটা নির্ভর করে ওয়েদারের উপর। গরম বেশি থাকলে ভাল দামে বিক্রিও হয় আবার চাহিদাও থাকে। লাভের পুরোটাই নির্ভর করে শুধুমাত্র ওয়েদারের উপর।
advertisement
তবে নির্দিষ্ট এলাকার কিছু জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফসল হিসেবে খরমুজও চাষ করা হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন বাজার থেকে পাইকাররা এসে মাঠ থেকেই তরমুজ ও খরমুজ কিনে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বলগোনা-গুসকরা সড়কের ধারে বসেও ফসল বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন: বর্ষার মরশুমে মৌমাছি পালনে মেনে চলতে হবে বিশেষ কয়েকটি জিনিস ! তবে লাভ আসবে প্রচুর
চাষিরা বলছেন, ফলন ভাল হচ্ছে এবং লাভও হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ধান-আলুর পাশাপাশি তরমুজ চাষে সাফল্যে তাঁরা নতুন দিশা দেখছেন। এই ধরনের বিকল্প চাষ কৃষিতে বৈচিত্র্য আনছে এবং ভবিষ্যতে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতেও এই চাষ বড় ভূমিকা নিতে পারে। আউশগ্রাম ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক দেবতনু মাইতি বলেন, আমি চাষিদের জমি লিজ নিয়েও চাষ করতে দেখেছি। তরমুজ চাষ করে অল্প সময়ে তারা ভাল লাভবান হচ্ছেন। এই চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে নয় এবার সমতলে আদা চাষ করেই মোটা টাকা লাভ
তরমুজ চাষে লাভ বেশি হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। ধান-আলুর পাশাপাশি বিকল্প ফসল হিসেবে তরমুজ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কৃষি দফতরের সহায়তা ও সঠিক বাজার থাকলে এই চাষ ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী