জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন গ্রামগুলোতে এখন চোখে পড়ছে মুখি কচুর জমি। এই কচু স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ‘সুজি কচু’ নামে।বালি মাটিই এই কচুর জন্য আদর্শ। মজার বিষয় হল, জমিতে জল জমে থাকলে উলটে ক্ষতি হয়—সেই কারণেই এই কচু চাষে খুব একটা পরিশ্রম বা খরচের প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ হচ্ছে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত!
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ থেকে দিঘার বাসে বিশেষ ছাড়! কখন কোথা থেকে ছাড়বে? কীভাবে বুকিং? জেনে নিন
এই কচু বিক্রি হচ্ছে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন হাট-বাজার ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য যেমন ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত। একসময় তিস্তার বালিমাটিতে বাদাম চাষ করতেন যে কৃষকেরা, তারাই এখন ঝুঁকছেন মুখি কচু চাষে। কৃষকদের মতে, “খরচ কম, যত্ন কম, লাভ অনেক বেশি। তার ওপর বাজারে এই কচুর চাহিদাও প্রচুর।”
কীভাবে এই কচু চাষ করবেন ? সুজি কচু বা মুখী কচুর চাষ করার জন্য প্রথমে ভাল করে জমি তৈরি করতে হয়। এরপর জৈব সার প্রয়োগ করে এবং বীজ অথবা চারা রোপণ করতে হয়। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করার মাধ্যমে গাছটিকে ভালভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। এবং গাছের গোড়ায় জল জমলে তেমনভাবে ফলন কম হবে জল দিকটিকে নজর রাখতে হবে। বর্ষার কালে এই ফসল ভাল চাষের জন্য উপযোগী। লাইন থেকে লাইন এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব নির্দিষ্ট রাখতে হয়।তিস্তার স্রোত বয়ে আনে যে পলি, যে বালি—সেই মাটিতে গড়ে উঠছে কৃষকের নতুন স্বপ্ন। শুধু কচু নয়, এই চাষ যেন হয়ে উঠেছে এক বিপ্লব—খরচ নয়, বুদ্ধিই এখন চাষের আসল মূলধন।
সুরজিৎ দে





