একদিকে যখন গরমের তাপে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা হয়। ঠিক অন্য দিকে তাপ বাড়লেই হাসি ফুটে গ্রামের মহিলাদের। তাই রোদ উঠলেই গ্রামের মহিলারা তড়িঘড়ি লেগে পড়েন আমসত্ত্ব তৈরির কাজে।
আরও পড়ুন: আধার কার্ড ও পিএম কিষান যোজনায় দেওয়া নাম মিলছে না ? তাহলে কী করবেন ?
জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানান, “আমসত্ত্বের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজারে। আম হচ্ছে ফল মরসুম ফল তাই মরসুম শেষ হলে আমও শেষ হয়ে যায়। তবে সারা বছর মানুষকে আমের স্বাদ দিতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে তৈরি করা হয় আমসত্ত্ব। বিশেষত গ্রামীণ এলাকার মহিলারা বাড়িতে কাপড়ের উপর আম কে মাখিয়ে দিয়ে তৈরি করেন আমসত্ত্ব। বাজারে এর চাহিদা থাকায় ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে এই আমসত্ত্ব যদি মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় তাহলে বাজারে আরও বেশি চাহিদা বাড়বে। ইতিমধ্যে জেলায় একাধিক এলাকায় মেশিনের মাধ্যমে আমসত্ত্ব তৈরি করা শুরু হয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি সুদ ! মিলবে বাম্পার রিটার্ন
মূলত সারা বছর মুখে আমের স্বাদের চাহিদা মেটাতে এই আমসত্ত্ব অন্যতম ভূমিকা পালন করে। আম পাকার পর থেকেই আমসত্ত্ব তৈরি করার তোরজোড় শুরু হয় গ্রামের মহিলারা। বাড়িতে খাবার পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করা হয় আমসত্ত্ব।
মালদহের কোতুয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের আরাপুর, চলবন্দি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে লক্ষ্য করা যায় আমসত্ত্ব তৈরির কাজ। আধুনিক যুগে একাধিক মেশিন যন্ত্র তৈরি হলেও আজও রোদ উঠলেই তড়িঘড়ি বাড়িতেই আমসত্ত্ব তৈরির জন্য লেগে পড়েন গ্রামের মহিলারা। তবে আমের মরসুমে কিছুটা হলেও এই আমসত্ত্ব তৈরি করে আর্থিকভাবে পরিবারের হাল ধরছেন মহিলারা।
জিএম মোমিন।





