তবে, সব মাসে সব ফসলের চাষ লাভ দেয় না। কৃষি প্রকৃতির উপরে নির্ভরশীল, আবহাওয়ার ধরন বুঝে তাই এগোতে হয়। এখানে নভেম্বরে চাষের উপযোগী এক ফসলের কথা বলা হবে।
নভেম্বর মাসে বিট চাষ করে কৃষকরা প্রচুর লাভ করতে পারেন। বাজারে বিট চাষের ভাল দাম পেলে তাদের আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই কম খরচের এবং সময়সাপেক্ষ ফসল কৃষকদের জন্য লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন, বিশেষ করে যাঁরা ঐতিহ্যবাহী ফসল থেকে বৈচিত্র্য আনতে চান।
advertisement
আরও পড়ুন: প্যাসিভ ইনকাম অ্যাক্টিভ ইনকামের চেয়ে কতটা আলাদা? জেনে নিন উপার্জন বাড়ানোর ৫ সেরা উপায়
জেলা উদ্যানপালন কর্মকর্তা ড. পুনিত কুমার পাঠক বলেন, কৃষকদের আর কেবল ঐতিহ্যবাহী ফসলের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। বিট চাষ করে কৃষকরা অল্প সময়ের মধ্যে যথেষ্ট আয় করতে পারেন। তবে, কৃষকদের উন্নত বিট চাষের জাত বেছে নেওয়া উচিত। বিট চাষের ফসল প্রায় ১০০ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়। কৃষকদের তাঁদের ক্ষেত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রস্তুত করা উচিত এবং বিট চাষ করা উচিত। প্রসেসড জাতের বিট নির্বাচন করলে তাঁদের আয় আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই বিট চাষের জাতটি বিশেষ
কৃষকদের CRIMSOM GLOBE জাতের বিট চাষ করা উচিত। রস উৎপাদনের জন্য এই জাতটির চাহিদা রয়েছে। এই উন্নত জাতের বিট চাষ অল্প সময়ের মধ্যে পরিপক্ক হয় এবং ভাল লাভ হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত হওয়ায় নভেম্বর মাসে এই জাতটি বপন করা ভাল। প্রতি হেক্টরে ৩০০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন সহজেই সংগ্রহ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: SIP vs SWP vs STP: কোন মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রিটার্ন দেয় জেনে নিন
লাভের পরিমাণ এতটাই হবে
কৃষকরা যদি প্রতি কেজিতে সর্বনিম্ন ২০ টাকা দামে বিট বিক্রি করেন, তবুও তাঁরা ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বিট চাষে খুব কম বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়, যার ফলে লাভ বেশি হতে পারে। এই জাতটি রোগ প্রতিরোধী এবং খুব বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না, ফলে খরচ আরও কমে যায়।
