এই ফুলের এক একটি স্টিক সাত টাকা থেকে দশ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। বাড়ির ছাদ বাগানে খুব সহজেই চাষ করতে পারেন এই গ্লাডিওলাস। এই ফুলের চারা রোপন করার প্রধান সময় হল অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। গ্ল্যাডিওলাস প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা আলো পছন্দ করে। তাই রৌদ্রজ্জ্বল জায়গা এবং ঝড়ো বাতাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা আছে এমন জায়গা এই ফুল চাষের জন্য উপযুক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তর সিকিমে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাঙালি পর্যটক মা ও মেয়ের! পরিবারে হাহাকার
সাধারণত যে কোনও ধরনের উর্বর মাটিতেই গ্ল্যাডিওলাস চাষ করা যায়। তবে সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ এবং বেঁলে দো-আঁশ মাটি এই ফুল চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পিএইচ মান ৬ থেকে ৭ এর মধ্যে থাকা দরকার। অধিক কাদাযুক্ত এবং কালো মাটির জমিতে চাষ না করাই ভাল। হালকা মাটির ক্ষেত্রে জৈব সার মিশিয়ে মাটির গুণাগুণ ভাল করতে হবে। একই জমিতে বারবার গ্ল্যাডিওলাস চাষ করলে মাটিবাহিত রোগের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ফসলও চাষ করতে হবে।
শীতকাল ছাড়াও সারাবছর গ্ল্যাডিওলাস চাষ করা যায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে মাস হল এই বীজ বা গুঁড়িকন্দ বসানোর উপযুক্ত সময়। গুঁড়িকন্দ সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ২৫ সেন্টিমিটার হতে হবে। টবে গ্ল্যাডিওলাস চাষের জন্য প্রথমেই পরিমাণ মতো দো-আঁশ বা বেলে মাটির সঙ্গে গোবর, পাতাসার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। মাটি সবসময় ঝুরঝুরে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বাঘবন্দি খেলা শেষ! ৭ দিন পর চতুর্থ বারের ঘুমপাড়ানি গুলিতে বাগে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
চারা গজানোর ৪ সপ্তাহ পর থেকে ২১ দিন অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ জল নিয়ে তাতে কিছুটা ভি.এ.পি, কিছুটা ম্যাগেশিয়াম সালফেট, কিছুটা মিউরিয়েট অফ পটাশ দিতে হবে। তাতে ফুলে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। টবের মাটি ভাল থাকবে। তবে এঁটেল মাটির ক্ষেত্রে সার কম লাগবে।
গ্ল্যাডিওলাস গাছে জাবপোকা, শোষক পোকা, ইউপোকা আক্রমণ করতে পারে। তাইরোগাক্রান্ত গাছে ১৫ থেকে ১৮ দিন পরপর ৩ বার কুপ্রাভিট অথবা ব্যাভিস্টিন মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ছত্রাক আক্রান্ত হলে, ফুলের বোটা নরম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে একবার নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করলে ভালো হয়। এভাবেই গ্লাডিওলাস চাষ করলে গাছ ভর্তি ফুল আসবে সারা বছর। এই ফুল চাষ করেই মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন।