বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত থেকে আট হাজার ড্রাগন গাছ রয়েছে এখানে। ফলন শুরু হয় বর্ষাকাল থেকে, যা চলে নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত। এরপরের ছ’মাস গাছকে পরবর্তী মরসুমের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ‘বেঙ্গল অগ্রো ফার্ম’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা বিজয় দাস জানান, ইউটিউব দেখে ও গুজরাটে গিয়ে চাষের কৌশল শিখে তারা এই চাষ শুরু করেন। সরকারি চাকরির অপেক্ষায় বসে না থেকে, দু’-তিন বিঘা জমিতে এই চাষ করলে সরকারি চাকরির মতোই আয় সম্ভব বলেও জানান তিনি।
advertisement
ফার্মের উৎপাদিত ফল শুধু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই নয়, উত্তরবঙ্গ, উড়িষ্যা এমনকি নেপাল পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ফল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। ড্রাগন ফল বর্তমানে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শহরাঞ্চলে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফলে এই চাষ এখন যুব সমাজের কাছে লাভজনক ও বাস্তবসম্মত বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ হয়ে উঠছে। আর এভাবেই বিজয় দাস ও তাঁর দুই সহকর্মী যেন প্রমাণ করেছেন স্বপ্ন থাকলে, মাটিই হতে পারে সাফল্যের আসল ঠিকানা।





