পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের মাটিকে সোনার মাটি বলা হয়। কারণ এই ব্লকের মাটিতে সব কিছুই চাষ সম্ভব। সম্প্রতি কৃষি দফতরের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের ভূপ্রকৃতি অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষি দফতরের উদ্যোগে শুরু হল এই চাষ। প্রচুর পরিমাণে খাদ্যগুণ থাকার জন্য অ্যাভোকাডো সারা বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত। এই ফলের দাম বাজারে অনেকটাই বেশি। তাই অ্যাভোকাডো চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক। বর্তমান সময়ে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে অ্যাভোকাডো চাষ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম পাঁশকুড়াতে শুরু হল এই চাষ।
advertisement
এ বিষয়ে পাঁশকুড়া ব্লকের কৃষি আধিকারিক প্রীতম জানা বলেন, “মূলত মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার একটি ফল। বর্তমানে ভারতবর্ষের দক্ষিণ প্রান্তের রাজ্যে এর চাষ হচ্ছে। এর পাশাপাশি নর্থইস্টের রাজ্যে চাষ হচ্ছে। এই ফল চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক। কারণ এই ফলের পুষ্টিগুণ অনেক থাকায় বাজারে দাম খুব ঊর্ধ্বমুখী। এক একর জমিতে কেউ যদি পিংকারটন ভেরাইটির অ্যাভোকাডো চাষ করে তাহলে বছরে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয় করা যায়। এক একর জায়গায় ৫০ থেকে ৬০টি অ্যাভোকাডো চারা রোপন করা যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার তিনজন কৃষককে বেছে নেওয়া হয়েছে। আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের ৫০টি করে অ্যাভোকাডো চারা দেওয়া হয়েছে। ফল পেতে ছয় থেকে সাত বছর অপেক্ষা করতে হয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অ্যাভোকাডো প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একচেটিয়া উৎস। এতে ভিটামিন সি, ই, কে এবং সমগ্র বি-কমপ্লেক্স রয়েছে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের মতো খনিজ পদার্থও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, বিশেষ করে মনোআনস্যাচুরেটেড চর্বি। এই ‘ভাল চর্বি’ আপনার LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ফলে বাজারে অ্যাভোকাডো ফলের দাম অনেকটাই বেশি। এক একর জমিতে অ্যাভোকাডো চাষ করলে। প্রচুর পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অর্থনীতি চাষবাসের উপর নির্ভর। এবার সেই চাষবাসে যুক্ত হল অ্যাভোকাডো চাষ। আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জুড়ে এই অ্যাভোকাডো চাষের ক্ষেত্র বাড়বে।





