এলাকায় কৃষি ও পতিত জমি এবং বাড়ির আশপাশে চাষ হচ্ছে এই ঘাস। খড়ের চেয়ে এখন এই ঘাসের চাহিদা অনেক বেশি। কৃষক ও খামারিরা নেপিয়ার ঘাস চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠছেন। বিশেষত খড়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিদেশি জাতের এই ঘাস। নেপিয়ার ঘাসের চাষে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না। কৃষকরা অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভবান হচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার দামে বদল ! দেখে নিন কলকাতায় ১ ভরির দাম কত হল
এ জাতের ঘাস রোপণের এক থেকে দু’মাসের মাথায় কাটার উপযোগী হয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে গোড়া থেকে চারা গজায়। সে ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কাটার উপযোগী হয়। একটি গোছা থেকে ১২-১৫ কেজি ঘাস হয়। একটি গরুর জন্য প্রতিদিন ৭-১০ কেজি ঘাস প্রয়োজন হয়।
একবার বীজ বুনলে বা চারা রোপণ করলে কয়েক বছর ঘাস পাওয়া যায়। ফলে খরচ কম হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়ার হায়দারপুর এলাকায় এই প্রজাতির ঘাসের চাষ হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান চাষের বিচুলি নষ্ট হয়ে খড়ের দাম বেশি হওয়ায় এখন এই ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘Lakh’ না ‘Lac’ কোনটা সঠিক ? Lac লিখলে চেক কি বাতিল হয়ে যাবে ?
নেপিয়ার ঘাস চাষ গরুর খাবারের চাহিদা মিটছে। এই ঘাস চাষের জন্য বীজ বোনা এবং চারা লাগানো যায়। বীজ বুনলে দেড় মাস এবং চারা লাগালে এক মাসের মধ্যে ঘাস বড় হয়ে যায়। প্রতিমাসে অল্প ফসফেট, পটাশ এবং ইউরিয়া সার দিতে হয়। মাঝে মধ্যে একটু সেচও দিতে হয়।
জুলফিকার মোল্লা