নবাব নগরী মুর্শিদাবাদ জেলা, আর সেই জেলাতে চলছে মুক্তো চাষ। আর সেই মুক্তো চাষে অন্যান্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে পরিদর্শন করানো হল অন্যান্য চাষিদের। মুক্তো-কে ইংরেজিতে Pearl বলা হয়। ঝিনুকের মধ্যেকার রত্ন মুক্তো। অন্য নাম মোতি। আঞ্চলিক ভাষায় অনেক সময় মুক্তোকে মুক্তা বা মুকুতা নামেও ডাকা হয়। মুক্তা এক ধরনের শম্বুক জাতীয় প্রাণি।
advertisement
ঝিনুকের মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি দেখতে ছোট এবং সাদা রঙের। তবে কখনও কখনও পাণ্ডুর বা ফ্যাকাশে রঙ-সহ কালো রঙেরও হতে পারে। যা সাধারণত মোতি হয় গোলাকৃতির। এ ছাড়া, অর্ধ-গোলাকার, ডিম্বাকৃতি কিংবা অন্য যে-কোনও আকৃতির হতে পারে। অলঙ্কার জগতে মুক্তোর অসম্ভব জনপ্রিয়তা ও সুনাম রয়েছে। জুন মাসে জন্মগ্রহণকারী জাতকগণ জন্মপাথররূপে মুক্তো ধারণ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: FD vs PPF: এখন কি ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা সঠিক হবে ?
এলাইগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎকর্ষ বাংলা কেন্দ্রের সহযোগিতায় মুর্শিদাবাদ মুক্ত চাষ কেন্দ্রে ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শুভ সূচনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিভাবে ঝিনুকের ভিতর থেকে মুক্ত বার করা হয় সেটি দেখানো হয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। মোট ১৩২জনকে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১০ গ্রাম সোনার বদলে কত টাকা গোল্ড লোন পাবেন ? জেনে নিন
জানা গিয়েছে, মুক্ত চাষ করা শুরু করার গ্রামের বিভিন্ন জেলে এবং ছেলেদের থেকে প্রথমে ঝিনুক সংগ্রহ করেন। তারপর সেই ঝিনুকে মুক্ত তৈরির ছাঁচ প্রবেশ করান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজ করতে হয় যাতে ঝিনুকগুলি মারা না যায়। এরপর সেগুলিকে জলে ছেড়ে দিতে হয়। ডিজাইন মুক্ত তৈরি হওয়ার জন্য ছয় থেকে আট মাস সময় লাগে। অন্যদিকে গোল মুক্ত তৈরি হতে সময় লাগে দু\’বছর। ঝিনুক সংগ্রহ করা এবং সেগুলির মধ্যে ছাঁচ বসানো ইত্যাদির ক্ষেত্রে খুব একটা ব্যয় অথবা পরিশ্রম হয় না। কেবলমাত্র ধৈর্য ধরে পরিচর্চা করলেই লাভের মুখ দেখা যায়।
কৌশিক অধিকারী