হাতে অল্প সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন “ফুলের গ্রাম” থেকে। এই দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য স্বরূপ গ্রামটি রয়েছে ধুপগুড়িতে। ধূপগুড়ি মহকুমার বারঘোরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য বোড়াগাড়ি এলাকায় ঢুকতেই চোখে পড়বে রঙিন এক বিস্ময় -যত দূর চোখ যায় শুধু ফুল আর ফুল। শীতের মরশুমে বিকল্প চাষ হিসেবে ফুল চাষে জোর দিয়েছেন এখানকার কৃষকরা। সেই উদ্যোগেই যেন বদলে গেছে গোটা এলাকার ছবিই।
advertisement
আরও পড়ুন: পিএফ থেকে একবারে কত টাকা তুলতে পারবেন ? জেনে নিন নিয়ম
এখন এই গ্রামকে অনেকেই ডাকেন ‘ফুলের গ্রাম’ নামে। গ্রামের প্রায় ১৫টি কৃষক পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে হচ্ছে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, পেনজি, ডেনটাস সহ দেশি–বিদেশি নানা প্রজাতির ফুলের চাষ। কৃষকদের দাবি, অন্যান্য ফসলের তুলনায় ফুল চাষ কিছুটা হলেও বেশি লাভজনক। তাই অভাব-অনটনের দিন পেরিয়ে এখন স্থিতিশীল আয়ের পথে হাঁটছেন এলাকার অনেক পরিবার। তাই এই গ্রাম কৃষকদের আর্থিক স্বাবলম্বী করতে নতুন আয়ের দিশাও দেখাচ্ছে ফুল চাষের মাধ্যমে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, শুধুই পুরুষ নয়, ফুল চাষে সমানভাবে যুক্ত মহিলারাও। গাছ পরিচর্যা থেকে বাজারজাতকরণ…সবেতেই তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ফলে গ্রামে তৈরি হয়েছে এক নতুন অর্থনৈতিক শক্তি ও আত্মনির্ভরতার পরিবেশ। স্থানীয় ফুলের চাহিদা শুধু জলপাইগুড়িতে নয়, শিলিগুড়ি, ইসলামপুরসহ বাইরে বিভিন্ন জেলার পাইকারদের কাছেও ব্যাপক।
খুচরো ও পাইকারি-দুই বাজারেই ওঠানামা করছে এই ফুলের চাহিদা। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে নানা প্রজাতির ফুলের চারা, যা কৃষকদের বাড়তি আয়ের পথ খুলে দিয়েছে। কৃষি দফতরের পরামর্শ পেলে এই চাষ আরও ভাল হবে এবং উৎপাদন বাড়বে বলেই দাবি ফুল চাষীদের। বিকেল নামলেই সৌন্দর্যের টানে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় এই ফুলের গ্রামে। রঙিন ফুলের সমারোহ আয়ের পথ তো বটেই সঙ্গে এলাকার মানুষের গর্ব, পরিশ্রম আর আশার প্রতীকও বহন করছে।
সুরজিৎ দে





