কৃষি কর্মকর্তা ভগবতী প্রসাদ ব্যাখ্যা করেন যে, কৃষকরা দুটি উপায়ে পালং শাক চাষ করতে পারেন। প্রথম পদ্ধতিতে, মাটি আলগা করার জন্য ক্ষেত ২-৩ বার গভীরভাবে চাষ করা হয়। চাষের সময় জমিতে গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট যোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর পরে, মাটি এবং সার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিশিয়ে পালং শাকের বীজ বপন করা হয়। এই পদ্ধতিতে ভাল ফলন পাওয়া যায়। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে, কৃষকরা জমিতে বেড তৈরি করে বীজ বপন করেন। এই পদ্ধতিতে জলের প্রয়োজন কম হয় এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ফসল পচে যাওয়ার ঝুঁকি দূর হয়। উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষ করতে প্রতি একরে আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা খরচ হয়। তবে, ৪০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত পালং শাক চাষ করলে কৃষক ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা লাভ করতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: PPF, NSC নয়… এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পটি সর্বোচ্চ সুদ প্রদান করে, সরকার ঘোষণা করেছে
রোগ প্রতিরোধের উপায়
পালং শাকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল রোগ এবং পোকার আক্রমণ। পালং শাকের পাতায় সহজেই পোকামাকড় আক্রমণ করে। এর ফলে পাতা ছিঁড়ে যায় এবং গর্ত দেখা যায়, যা ফসলের গুণমান এবং ফলন উভয়কেই প্রভাবিত করে। এমন পরিস্থিতিতে, কৃষকরা নিম তেল স্প্রে করে প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কৃষিবীজের গুদাম থেকে পাওয়া ম্যালাথিয়ন বা প্যালিডলের মতো কীটনাশক স্প্রে করাও কার্যকর। এটি পোকামাকড় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ফসলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪০০০ টাকার SIP ১৫ বছরে যা রিটার্ন দেবে তা কল্পনারও বাইরে, একবার শুধু হিসেবটা দেখুন
৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে
পালং শাক ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়য়। ভগবতী প্রসাদ বলেন যে, পালং শাকের পাতায় রোগ প্রতিরোধে নিম তেল স্প্রে করা খুবই কার্যকর। তাছাড়া, কৃষি বীজ গুদাম থেকে পাওয়া ম্যালাথিয়ন বা প্যালিডলের মতো কীটনাশক স্প্রে করলে এই রোগগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি কেবল ভাল ফলনই নিশ্চিত করে না, বরং কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে।