কার্শিয়াং এর সেপোয় ধুরা থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার নিচে ফাজে বস্তিতে চা বাগানের সবুজে এখন দেখা মিলছে কমলা লেবু। আর এই কমলার আঁকিবুকি দেখতে বহু মানুষ আসছেন এই গ্রামে। সাধারণভাবে নভেম্বর মাসে লাস্ট ফ্লাশ এর পর থেকে চা বাগানে শুরু হয় লিন পিরিয়ড। এই সময় আর চা পাতা হয় না। ডিসেম্বর শুরুর পর বাগানে শুরু হয় চা গাছ ছেঁটে ফেলার কাজ। ফলে মার্চ মাস পর্যন্ত চা বাগান থেকে আয় হয় না তেমন। এই সময়ে বিকল্প আয়ের দিশা খুঁজতেই শেড-ট্রি হিসেবে কমলা লেবুর চাষের ভাবনা মাথায় এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন ভরতবাবু। সেই ভাবনাই এখন দিশা দেখাচ্ছে অন্যদেরও।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার দামে বদল ! দেখে নিন কলকাতায় ১ ভরির দাম কত হল
ভরত বাবু বলেন, “এবার কমলার ফলন দারুন হয়েছে । আমার বাগানের কমলার স্বাদ ও গন্ধ দার্জিলিংয়ের কমলার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আগে এই গ্রামে কমলা হত না। বিগত পাঁচ ছয় বছর ধরে আমাদের গ্রামেও কমলার ফলন হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ‘Lakh’ না ‘Lac’ কোনটা সঠিক ? Lac লিখলে চেক কি বাতিল হয়ে যাবে ?
তিনি আরও জানান, বর্তমানে আমার বাগানে প্রায় ৭০ টি কমলার গাছ রয়েছে। দারুন ফল হচ্ছে । বিক্রিও ভাল হচ্ছে। তাকে দেখে গ্রামের আরও কিছু লোকেরাও কমলা ফলাতে আগ্রহী হয়েছে। এই কমলার ফলন এখন আয়ের দিশা দেখাচ্ছে ফাজে বস্তির স্থানীয়দের।
অনির্বাণ রায় ।





