অল্প খরচে সারাবছর ফল পাওয়া যায় বলে এটি অনেক কৃষকের কাছে এখন আয়ের এক নতুন দিশা হয়ে উঠেছে। ফলে শুধু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়াই নয়, এই চাষ নতুন প্রজন্মকেও কৃষিকাজে উৎসাহিত করছে।
পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের আড়রা গ্রামের কৃষক বাবলু দাস এখন এই পরিবর্তনের এক অনুপ্রেরণাদায়ক মুখ।
আরও পড়ুন: ঝুঁকি না নিয়েই কত দিনে ৫ লাখ টাকা দ্বিগুণ হতে পারে ? জানুন ৭২-এর নিয়ম
advertisement
প্রথাগত পদ্ধতিতে ধান চাষ করলেও নিজের বাড়ির জমিতে তিনি আজ থেকে প্রায় আড়াই-তিন বছর আগে কিছু লেবুর গাছ লাগান। সে সময় এই চাষ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা তিনি নিজেও জানতেন না। তবে ধীরে ধীরে গাছ বড় হতে শুরু করে, এবং গত এক-দু’বছর অল্প পরিমাণে ফল আসলেও, এবছর তার গাছগুলো যেন সোনা ফলাতে শুরু করেছে।
বাবলু দাস জানান, “শুরুতে খুব একটা আশাবাদী ছিলাম না। কিন্তু এখন দেখছি, এই লেবু চাষ থেকেই নিয়মিত একটা আয় হচ্ছে। বাজারে ভাল দামও পাচ্ছি।”
বর্তমানে বাবলু আরও কিছু লেবুর গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছেন তার বাড়ির বাগানে। পাশাপাশি গ্রামের আরও কয়েকজন যুবকও তার দেখান পথে হাঁটতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি দফতরের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেলে এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সোনার দামের পূর্বাভাস, হলুদ ধাতুর দাম কি আরও বাড়বে? দেখে নিন কী ঘটতে পারে
লেবু চাষ এখন শুধু একটি পেশাই নয়, বরং পুরুলিয়ার মতো খরাপ্রবণ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য হয়ে উঠছে একটি টেকসই জীবিকার পথ। বাবলু দাসের মত উদ্যোগী তরুণদের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে গ্রামীণ অর্থনীতির ছবি।
শান্তনু দাস