মূলত শীতকালে তাপমাত্রা ১০-১২ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড হলে ভাল মানের পেয়ারা পাওয়া যায়। এটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরা সহ্য করতে পারে এই ফল তাই শীতকালের পাশাপাশি গরমকালেও এই ফল চাষ ভাল হয়। কিন্তু তুষারপাত সহ্য করতে পারে না আর তাই পাহাড়ি এলাকাতে এই ফল সেভাবে চাষ করা যায় না। তবে এই ফলের জন্য গাছের গোড়া শক্ত এবং বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টিপাতেরও প্রয়োজন আছে। তবে ফল ধরার সময় বৃষ্টি হলে ফলের উৎপাদন এবং গুণমান ব্যাহত হয়।
advertisement
পেয়ারা ভারী কাদা মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। এটা হালকা বেলে দোআঁশ থেকে কাদা দোআঁশ মাটিতে চাষ ভাল হয়। বিভিন্ন প্রকারের কলম করে ভাল জাতের গাছের বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে। যেমন গুটি কলম, জোড় কলম, চোখ কলম ইত্যাদি। এর মধ্যে গুটি কলম পদ্ধতিটি সহজ ।
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টের গ্রাহকদের জন্য PNB নিয়ে এল বড় সুখবর ! এখন থেকে আর দিতে হবে না এই চার্জ
সাধারণত ১ বছরের চারা রোপণের পরে গাছে ফল আসতে শুরু করে। তবে সেটা জাত অনুযায়ী। পেয়ারা সারা বছর তোলা হয়। কিন্তু ফল তোলার সঠিক সময় হল বর্ষা (আগস্ট), শীত (নভেম্বর-ডিসেম্বর) এবং বসন্ত (এপ্রিল-মার্চ)। ফলের রঙ সবুজ থেকে হালকা হলুদ ফল তোলার উপযুক্ত সময় সাধারণত ফুল আসার ৪-৫ মাস পর হয়। পেয়ারা সাধারণত হাত দিয়ে তোলা হয়। বীজ থেকে তৈরি গাছে ফল আসতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ বছর। অন্যদিকে, কলম করা গাছে দু-তিন বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: PM Kisan: কবে মিলবে পিএম কিষান যোজনার টাকা ?
ফল পাকার সময় ফলের রঙ সবুজ থেকে ধীরে ধীরে হলদেতে পরিণত হয়। পাকা ফল গাছে রাখা সম্ভব হয় না। তার কারণ বিভিন্ন প্রকারের পাখি ও বাদুড় অনেক ফল নষ্ট করে দেয়। তাই ফল পাকার ঠিকা দু-একদিন আগেই ফল গাছে থেকে কেড়ে নিতে হবে। একটি ৩-৪ বছর গাছের গড় ফলন ২৫-৩০ কেজি হবে। প্রতি কেজি পেয়ারা পাইকারি বাজারে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হলে গাছপিছু আয় হবে ৫০০-৬০০ টাকা। প্রতি বিঘাতে আয় হবে ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা।
সুমন সাহা