পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় ধান চাষের পাশাপাশি ধান চাষের জমিতে এবং পুকুরে পানিফল চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন একাধিক কৃষক। ধান চাষের পাশাপাশি জুটছে বাড়তি লাভ। বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। দুর্গাপুজোর সময় থেকে শুরু হয়েছে এই পানিফল বিক্রি। প্রায় তিন মাস ধরে বাজারে এই ফল বিকোয়।
advertisement
পানিফল চাষ
আরও পড়ুন: ভাগীরথী গিলে খাচ্ছে অগ্রদ্বীপ! আবার শুরু হয়েছে ভাঙন, দেখুন ভয়াবহ পরিস্থিতি
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার একামলিপুর, কুহুড়া, রাইসিমা, মেনকাপুর-সহ একাধিক এলাকার চাষিরা ধান চাষের জমিতে ফলাচ্ছেন পানিফল। জানা গিয়েছে, এই পানিফল মূলত দুই ধরনের, একটি সবুজ এবং অন্যটি লাল। মিষ্টি এবং সুস্বাদু এই ফল ফলাতে বিঘা প্রতি খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এই এক বিঘা জমিতে লাভের অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কৃষকদের বক্তব্য, এক বিঘা জমিতে ১২০টি চারার প্রয়োজন। চারার মূল্য প্রতি পিস ৩ থেকে ৪ টাকা। এক বিঘা পানিফল চাষ করতে সারের প্রয়োজন হয় ১০ কেজি। এছাড়াও সামান্য পরিচর্যায় প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ফলন পাওয়া যায়। প্রতিদিন এক ক্যুইন্টাল ফলন তোলেন কৃষকেরা। বর্তমানে ধান চাষের জমিতে লাঙল করে জল ভর্তি করে চারা লাগাতে হয় আষাঢ় মাসে। আশ্বিন মাসের মাঝ বরাবর সময় থেকে অগ্রহায়ণ, পৌষ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। পাইকারি দরে এই ফলন চলে যায় পাশের রাজ্য ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্ত-সহ পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। ধান চাষের পাশাপাশি ধান চাষের জমিতেই সামান্য খরচে এবং সামান্য পরিচর্যায় মালামাল হতে পারবেন আপনিও।





