সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। ঘরে ঘরে জ্বালান হয় মোমবাতি। তবে যদি আপনার বাড়িতে জ্বলতে থাকে ছোট্ট একটি টেডি, কিংবা গিফট বক্স। তবে কেমন অদ্ভুত লাগে তাই না? বিভিন্ন ধরনের মোমবাতি এখন বাজারে ট্রেন্ড। আর সেই ট্রেন্ডিংয়ে মোমবাতি বানিয়ে আয়ের মুখ দেখছেন এক যুবতী। বেলদার এই যুবতী এখন শুধু মোমবাতি বানিয়েই মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। তবে সাধারণ মোমবাতি নয়, বিভিন্ন আকারের ও রঙিন মোমবাতি বানিয়ে কয়েক মাসে বেশ নাম করেছেন। বেলদার নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা শ্বেতা প্রধান। ভুগোলে স্নাতক এই তরুণী আগে মুম্বইতে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। কয়েকমাস আগে সেই কাজ ছেড়ে বেলদার বাড়িতে ফিরেছেন। তারপরেই নিজেই ব্যবসার সন্ধান করেন। অনলাইনে দেখে মোমবাতি তৈরির উদ্যোগ নেন। আর এতেই মাত্র কয়েক মাসে বেশ উপার্জন হচ্ছে তার।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘার সি-বিচের স্বাদ এবার খোদ মেদিনীপুর শহরে! মুখরোচক খাবারে ভরবে মন
দীপাবলি উপলক্ষে তিনি শুরু করেছেন বিভিন্ন ডিজাইনের কাস্টমাইজ মোমবাতি। প্রথমের দিকে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ঘিয়ের বাতি তৈরি দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন। বিশেষ এই বাতি এলাকায় বেশ পরিচিত। এই বাতি প্রদীপে বসিয়ে যে কেউ সহজে জ্বালিয়ে দিতে পারবেন। অনেক সহজে এবং সুবিধা রয়েছে এই বাতি ব্যবহারে। তরুণী জানাচ্ছেন, এই বাতি ব্যবহারে ঝামেলা কম। শুধু প্রদীপে বসিয়ে জ্বালিয়ে দিলেই হবে। অফিসে বা বাড়িতে পুজো বা সন্ধ্যার সময় জ্বালানোর ক্ষেত্রে অনেক সহজ। আবার প্রদীপ পরিস্কার করার ঝামেলাও নেই। কেননা এই বাতি একেবারেই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ছাইও বিশেষ থাকে না।
কয়েক মাস আগে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে কাঁচামাল কিনে নিজের বাড়িতেই শুরু করেন এই মোমবাতি ও ঘি এর বাতি তৈরির কাজ। সামনে দীপাবলি উপলক্ষে টেডি, খ্রিস্টমাস ট্রি, আঙুর বল, ফুল, গিফট বক্স-সহ একাধিক আকৃতির রঙিন মোমবাতি বানাচ্ছেন। তবে সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরির পেছনে না দৌঁড়ে সামান্য পুঁজিতে এমন হাতের কাজ করে উপার্জন সম্ভব তারই দিশা দেখাচ্ছেন এই যুবতী।