বেশ কিছু সংস্থা তাদের টপ মডেলের স্কুটারকে পেট্রোল ইঞ্জিন থেকে বৈদ্যুতিন ইঞ্জিনে বদলে দিচ্ছেন। এতে তেল বাঁচছে, পরিবেশ দূষণ কম হচ্ছে। তবে আরও একটা উপায় আছে। এই পদ্ধতিতে পেট্রোল ইঞ্জিনের স্কুটারের মাইলেজ ১৩০ কেএমপিএল পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। সেটা কী?
আরও পড়ুন: এফডি ও আরডি নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না, ২ মিনিটে দুটোর পার্থক্য জেনে নিন!
advertisement
পেট্রোল ইঞ্জিন স্কুটারে এই কিট ইনস্টল করতে হবে: পেট্রোল, ডিজেল ও সিএনজির দাম লাগাতার বাড়লেও, পেট্রোল ও ডিজেলের দামে এখনও বড় পার্থক্য রয়েছে। হোন্ডা কোম্পানির অ্যাক্টিভা টিভিএস কোম্পানির জুপিটার এবং হিরো কোম্পানির মেট্রো, সুজুকি অ্যাকসেস স্কুটারে সিএনজি কিট ইনস্টল করা যাবে। এই কিট বসানোর পর পেট্রোল ইঞ্জিন সিএনজিতে চলতে শুরু করবে। অর্থাৎ, চালক সিএনজি এবং পেট্রোল উভয় দিয়েই স্কুটার চালাতে পারবেন। দিল্লিতে সিএনজি কিট তৈরি করে লোভাটো। তারাই পেট্রোল ইঞ্জিনের স্কুটারে সিএনজি কিট বসিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে টাকা, আপনার ব্যালেন্স চেক করেছেন
১ বছরে টাকা উঠে আসবে: একটি সিএনজি কিট বসাতে ১৮ হাজার টাকা খরচ। লোভাটো কোম্পানির মতে, এক বছরেই এই টাকা উঠে আসবে। এর আগে হোন্ডা কোম্পানি সিএনজি কিটসহ অ্যাক্টিভা স্কুটার লঞ্চ করেছে। কিন্তু তার দাম বেশি হওয়ায় তেমন জনপ্রিয় হয়নি। প্রসঙ্গত, স্কুটারে একটি সিএনজি কিট বসাতে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা। কোম্পানি স্কুটারে একটি সুইচ লাগিয়ে দেয়। সেটা দিয়েই সিএনজি এবং পেট্রোল মোড পরিবর্তন করা যায়। স্কুটারের সামনের দিকে দুটি সিএনজি সিলিন্ডার এবং সিটের নিচে সেটা চালানোর মেশিন বসানো হয়।
সিএনজি কিট বসানোর সুবিধা ও অসুবিধা: একটি সিএনজি কিট ইনস্টল করলে পেট্রোলের খরচ বাঁচবে। তবে কিছু অসুবিধেও আছে। সিএনজি কিট সহ স্কুটারে লাগানো সিলিন্ডারটির ক্ষমতা মাত্র ১.২ কেজি। ১২০ থেকে ১৩০ কিমি চালানোর পরই সিএনজি শেষ হয়ে যায়। সিএনজি স্টেশন খুঁজে পাওয়াও সহজ নয়। পেট্রোল পাম্পের তুলনায় এই পাম্পের সংখ্যা অনেক কম। তাছাড়া সিএনজিতে চালালে স্কুটারের কার্যক্ষমতা কমে যায়।