জ্যোতি মোটরস (Jyote Motors) এবং ভাণ্ডারী অটোমোবাইলস (Bhandari Automobiles)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই সংস্থা কলকাতায় তাদের দু’টি নতুন এরিনা (ARENA) শো-রুম খুলল যথাক্রমে কামালগাজি এবং রাজারহাটে। এ-ছাড়াও ভাণ্ডারী অটোমোবাইলস এবং মেশিনো টেক সেলস লিমিটেড-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যথাক্রমে রাজারহাট এবং বিটি রোড এলাকায় দুটি নতুন নেক্সা (NEXA) আউটলেটও খুলেছে ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন- শান্তিনিকেতনে তৈরি হল ‘বন্ধন স্কুল অফ বিজনেস’
এই শো-রুমগুলিতে থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ক্রেতারা যাতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে আরামে গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, তার জন্যই মূলত তৈরি হয়েছে এই নতুন শো-রুমগুলি। শুধু তা-ই নয়, এখানে কাজে লাগানো হবে ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তিকেও।
নতুন আরও চারটি শো-রুম উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে বাড়ল মারুতি সুজুকির এরিনা ও নেক্সা শো-রুমের সংখ্যা। এখন পশ্চিমবঙ্গে মোট এরিনা শো-রুমের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮। আবার এই রাজ্যে বর্তমানে নেক্সা শো-রুমের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬। এ-ছাড়াও নতুন শো-রুমগুলো এমন জায়গায় তৈরি করা হয়েছে, যাতে গ্রাহকদের পক্ষেও তা সুবিধাজনক হয়।
নতুন শো-রুম উদ্বোধনের প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিনিয়র একজিকিউটিভ অফিসার (মার্কেটিং এবং সেলস) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেন যে, “আমাদের সংস্থার অংশীদার জ্যোতি মোটরস, ভাণ্ডারী অটোমোবাইলস এবং মেশিনো টেকনো সেলস লিমিটেড-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কলকাতায় নতুন এরিনা এবং নেক্সা শো-রুম খুলতে পেরে আমরা সত্যিই খুব উচ্ছ্বসিত। মারুতি সুজুকি এই অঞ্চলের মানুষদের সবথেকে পছন্দের অটোমোবাইল ব্র্যান্ড। তাই গ্রাহকরা যাতে সঠিক ভাবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে গাড়ি কিনতে পারেন, সেটা মাথায় রেখেই আমরা একটা মাপকাঠি তৈরি করেছি। এই মুহূর্তে কলকাতায় আমাদের মোট ২০টি সেলস শো-রুম এবং মোট ৪৯টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। আসলে পশ্চিমবঙ্গের বাজার আমাদের কাছে বরাবরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কলকাতা হল এই রাজ্যে আমাদের সংস্থার বিকাশের মূল কেন্দ্র।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানান যে, “পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪২ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ বেশ বড়সড় একটা মার্কেট শেয়ার রয়েছে মারুতি সুজুকির। এই রাজ্যের সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া সেরা দশ গাড়ির মডেলের মধ্যে ৬টি তো আমাদের সংস্থারই। আর এই কারণেই আমরা গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। আর আমাদের এই এরিনা এবং নেক্সা শো-রুম তৈরি করা হয়েছে আধুনিক, প্রগতিশীল, যুব সম্প্রদায়ের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই। এ-ভাবেই গ্রাহকদের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলার উপর জোর দিচ্ছি আমরা।”