গত ১৭ মে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে এলআইসি। তারা জানিয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের সভায় চতুর্থ প্রান্তিকের একক এবং সমন্মিত আর্থিক ফলাফল নিয়ে আলোচনা এবং অনুমোদন করা হবে। বৈঠকে লভ্যাংশ প্রদান বা লভ্যাংশের বিষয়টিও বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে এলআইসি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারের দাম কমার পরেও এলআইসির বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারেন। গত বছর লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। যেহেতু সরকার এলআইসির ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে এবং আইপিও থেকে মাত্র ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে পারে, তাই সরকার আগামী সময়ে একটি এফপিও আনতে পারে। বিনিয়োগকারীদের এফপিও হাতে নেওয়ার জন্য, যাঁরা আইপিওতে অর্থ রাখেন তাঁদের লাভের জন্য এটি প্রয়োজনীয়। এই কারণে, আশা করা হচ্ছে যে এলআইসি-এর বিনিয়োগকারীরা বাম্পার লভ্যাংশ পেতে পারেন।
advertisement
আইপিও-র দুর্বল তালিকা: এলআইসির আইপিও তার ইস্যু মূল্যের ৮ শতাংশের নিচে তালিকাভুক্ত হয়। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে এলআইসি-এর স্টক ৮.১১ শতাংশ হারে ৮৭২ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কোম্পানির শেয়ারের ইস্যু মূল্য ছিল ৯৪৯ টাকা।
এলআইসি-র শেয়ারের দাম: এলআইসি-র শেয়ার মঙ্গলবার এনএসই-তে ০.৭৭ শতাংশ অর্থাৎ ৬.২৫ টাকা বেড়ে ৮২৩.১০ টাকায় বন্ধ হয়েছে। এটি এখনও ইস্যু মূল্যের চেয়ে ১২.৫৫ শতাংশ কম। এলআইসি আইপিও-র প্রাইস ব্যান্ড ৯০২-৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল৷ কোম্পানিটির স্টক প্রায় ৯ শতাংশ ছাড় দিয়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এলআইসির আইপিওর আকার ছিল২০,৫৫৭ কোটি টাকা এবং এটি ২.৯৫ বার সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষ কবে পাবে মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তি? কোন মাস থেকে রয়েছে দাম কমার সম্ভাবনা?
৩ গুণ সাবস্ক্রাইব: জানা গিয়েছে প্রায় ২.৯৫ গুণ বেশি সাবস্ক্রাইব হয়েছে এলআইসি-র আইপিও। এর মধ্যে পলিসি হোল্ডার এবং কর্মীদের রিজার্ভ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে ৬.১২ গুণ এবং ৪.৪ গুণ সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশে ২.৮৩ গুণ, অ-প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ২.৯১ গুণ এবং খুচরো বিনিয়োগকারীদের ১.৯৯ গুণ সাবস্ক্রাইব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এটা শুনতে ভালো লাগলেও এলআইসি-র মতো সংস্থার জন্য এই সংখ্যাটা নগণ্য বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। আইপিওতে ১৬.২ কোটি ইক্যুইটি শেয়ার রাখা হয়েছিল, যার বিপরীতে ৪৭.৮৩ কোটি ইক্যুইটি শেয়ারের জন্য বিড গৃহীত হয়েছে।