রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে এলআইসি-র রিজার্ভ ৫০৩.৭ বিলিয়ন ডলার। এলআইসি-র আগে রয়েছে তিনটি সংস্থা। বিশ্বের সেই শীর্ষ তিন বিমা কোম্পানি হল – জার্মানির আলিয়াঞ্জ এসই (৭৫০.২ বিলিয়ন ডলার), চায়না লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (৬১৬.৯ বিলিয়ন ডলার) এবং নিপ্পন লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (৫৩৬.৮ বিলিয়ন ডলার)।
বিশ্বের সেরা ৫০ বিমা সংস্থার এই তালিকায় একমাত্র ভারতীয় কোম্পানি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এলআইসি।
advertisement
আরও পড়ুন– ১৫০ টাকায় হুডি, ২০০ টাকায় জ্যাকেট; কোথায় মিলছে শীতপোশাকে এমন চমৎকার অফার?
তালিকায় ইউরোপের ৬টি দেশের ২১টি কোম্পানি রয়েছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে দেশের বিমা কোম্পানি তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে সেটা ইংল্যান্ড।
গ্লোবাল লাইফ ইনস্যুরেন্সে ভারতের হার মাত্র ১.৯ শতাংশ। তার পরেও এলআইসি বিশ্বের সেরা চারটি সংস্থার মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছে। এর কারণ হল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনের মার্কেট শেয়ার। যদিও নতুন ব্যবসার কথা ধরলে, এলআইসি-র মার্কেট শেয়ার কমেছে। নেমে এসেছে ৫৯ শতাংশে।
আরও পড়ুন– ঘোড়া ঘুমোনোর সময়ও দাঁড়িয়ে থাকে কেন? কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রাণীবিদ্যার গভীরে?
প্রিমিয়াম থেকে আয়ের দিক থেকে দেখলে, ২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সে ভারত সাত নম্বরে রয়েছে। গত বছর ৯ নম্বরে ছিল। অর্থাৎ চলতি বছরে দু’ধাপ উঠেছে।
সুইস রি-র সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বিমা প্রিমিয়াম ২০২৩-এর মার্চে বেড়ে ১৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এক বছর আগে তা ১২১ বিলিয়ন ডলার ছিল। বিশ্বের সেরা জীবন বিমা সংস্থার তালিকায় ১৭টি জায়গা দখল করেছে এশিয়া। এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন ও জাপান। এই দুই দেশে পাঁচটি কোম্পানির সদর দফতর রয়েছে।
এই তালিকায় ১২টি জায়গা দখল করেছে উত্তর আমেরিকা। এর মধ্যে ৮টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দুটি কানাডা এবং দুটি বারমুডায়। পৃথক দেশের ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০ জীবন বিমাকারীদের তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বৃহৎ জীবন বিমা কোম্পানি হল মেটলাইফ। বিশ্বের শীর্ষ জীবন বিমা সংস্থা তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন