ফিরোজাবাদের একজন কৃষক তাই আধুনিক প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল তথ্য এমনভাবে ব্যবহার করেছেন যে, এটি আজ অনেক কৃষকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। ইউটিউব থেকে বীজ সম্পর্কে তথ্য পেয়ে তিনি কেবল নতুন জাতের চাষ শুরুই করেননি, বরং কম খরচে ভাল ফলন এবং লাভ দুই পাচ্ছেন।
advertisement
তিন একর জমিতে বিভিন্ন ধরনের তরমুজ চাষ –
কালুপুরা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক এভরন সিং যাদব বিগত তিন বছর ধরে তরমুজ চাষ করছেন। তিনি তাঁর তিন একর জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ লাগিয়েছেন। এভরন সিং জানান যে, তিনি ইউটিউবের মাধ্যমে এই জাতগুলি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। অনলাইন ভিডিও দেখে, তিনি বীজের গুণমান বুঝতে পেরেছিলেন এবং বাজার থেকে বীজ কিনে জমিতে রোপণ করেছিলেন।
কম খরচে বেশি লাভ –
তরমুজ চাষের খরচ খুবই কম এবং লাভও বেশি। এভরন সিং বলেন যে, এক একর জমি চাষের খরচ প্রায় ২৫,০০০ টাকা, যেখানে এক মরশুমে আয় হয় ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা। তিনি বেড পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজ চাষ করেন, যার ফলে সেচ সহজ হয় এবং ফসল পর্যাপ্ত জল পায়।
কেসর, নির্মল, নামধারী এবং বরফি কৃষকদের পছন্দ –
এভরন সিং বলেন যে, তাঁর জমিতে নামধারী, কেসর, নির্মল এবং বরফি সহ অনেক জাতের তরমুজ জন্মায়। এর মধ্যে, ‘নির্মল’ জাতটিকে সেরা বলে মনে করা হয়। কারণ এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এর ফলে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
স্থানীয় বাজারে বিক্রয় –
এভরন সিং ফিরোজাবাদের বাজারেই তাঁর উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেন। এটি তাঁকে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ থেকে বাঁচায় এবং লাভ আরও বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় ক্রেতাদের মধ্যে এই তরমুজের ভাল চাহিদা রয়েছে, যার কারণে তাঁর আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।