সময়ের সাথে সাথে বয়স হয়েছে দার্জিলিঙের কমলা বাগানের সেই অর্থে আগের মত স্বাদ গন্ধ এবং সাইজ আর কিছুই নেই। যার ফলে ভুটান এবং নাগপুরের কমলালেবুতে ছেয়েছে উত্তরের বাজার। তবে চিন্তা নেই ফের একবার দার্জিলিঙের কমলাকে পুনর্জীবিত করতে বিরাট উদ্যোগ নিতে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগ এবং জিটিএ।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে প্রতিদিন ৭০ টাকা করে জমা করে মিলবে ৬ লাখ টাকার বেশি, দেখে নিন কীভাবে
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগে গ্রাফটেড করে তৈরি করা হচ্ছে ম্যান্ডোলিন দার্জিলিং কমলালেবুর চারা গাছ। এখনও পর্যন্ত মোট তিন হাজার দার্জিলিং ম্যান্ডেলিন কমলালেবুর গাছ গ্রাফটেড করে তৈরি করা হয়েছে। লক্ষ্য রয়েছে ৮ হাজার কমলালেবু গাছের চারা নতুন করে পাহাড়ের কোলে স্থাপন করার। এই চারাগুলি মূলত কালিম্পং জেলা থেকে শুরু করে দার্জিলিংয়ের মিরিক কার্শিয়াং তোদে সমস্ত জায়গায় কৃষকদের মধ্যে দেওয়া হবে। এক একটি গাছ দু থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফল প্রদান করবে। যার ফলে খুব দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: PNB-তে অ্যাকাউন্ট আছে? তাহলে আজই করুন এই কাজ, বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ব্যাঙ্ক
এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমরেন্দ্র পান্ডে জানান এর আগে পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে যেতেই কমলালেবুর গন্ধ মন মুগ্ধ করত তবে কোথাও গিয়ে যেন সেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে কমলা বাগানগুলির বয়স হয়ে যাওয়ায় স্বাদ গন্ধ এখন আর আগের মত নেই গাছগুলিতে রোগও হয়েছে ফলে আগের মত আর ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এই কাজটি সম্পন্ন হলে পুনরায় পুনর্জীবিত হবে ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিংয়ের কমলা বাগান। একদিকে ঐতিহ্য হারাচ্ছে দার্জিলিঙের কমলা অন্যদিকে বাইরের কমলা ঢুকে পড়ায় অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়ছে, কমলা চাষিরা। ফলে এই কাজ সম্পন্ন হলে রোজগারে অনেকটাই আসার আলো দেখবে পাহাড়ের কমলা চাষিরা।
নতুন রূপে নতুন ছন্দে ফিরবে দার্জিলিংয়ের কমলা বাগান এই আশাতেই দিন গুনছেন দার্জিলিং এর কমলা চাষিরা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফার্ম বিভাগের উদ্যোগে এবং জিটিএর সহযোগিতায় অভিনব এই উদ্যোগে নতুন করে রোজগারের মুখ দেখবে পাহাড়ের কমলা চাষিরা। ফের একবার দার্জিলিঙের কমলা উত্তরের পর্যটনে খুশির জোয়ার আনবে।
সুজয় ঘোষ





