ইতিমধ্যেই এই স্কিম নিয়ে গ্রাহকের দরজায় হাজির হয়েছে পেটিএম (Paytm), মোবিকুইক, ফ্রিচার্জ, অ্যামাজন (Amazon), স্লাইস, ইউএনআই, পোস্টপে, ধানি, জিস্টমানি, সিম্পল-এর মতো মতো বড় ফিনটেক কোম্পানি। তবে গ্রাহকদের মন জিতে নিয়েছে লেজিপে। কীভাবে?
আরও পড়ুন: কিছু রাজ্যে চালু পুরনো পেনশন স্কিম, পাল্টা এনপিএস-কে আরও আকর্ষণীয় করতে চলেছে কেন্দ্র!
advertisement
বর্তমানে বিএনপিএল স্কিমে কেনাকাটার ১৫ দিন পর বিল তৈরি হত। টাকা মেটাতে হত তার ৩ দিনের মধ্যে। কিন্তু ১৫ দিনের এই সময়টাকেই বাড়িয়ে এক মাস করে দিয়েছে ‘লেজিপে’। ২০২২-এর ১ এপ্রিল থেকে চালু হবে এই নিয়ম। ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের মেসেজ এবং মেল করে এই ‘সুখবর’ জানানো শুরু করেছে তারা।
জানা গিয়েছে, এখন থেকে প্রতি মাসে কেনাকাটা বা খরচের বিল তার পরের মাসের এক তারিখে তৈরি হবে। এবং ৩ তারিখের মধ্যে সেই টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। ধরা যাক, কেউ চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লেজিপে-র মাধ্যমে কেনাকাটা করলেন। তাহলে তিনি যত টাকা খরচ করলেন তার বিল তৈরি হবে ১ মে। আর টাকা শোধ করতে হবে ৩ মে।
সম্প্রতি এসবিএম ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং ভিসা-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কার্ড বাজারে এনেছে ‘লেজিপে’। গ্রাহকের আগে থেকে অনুমোদিত ক্রেডিট লাইনের সঙ্গে এই কার্ডটা লিঙ্ক করা থাকবে। এইতিন লেজিপে-র গ্রাহকরা মাত্র কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে এই সুবিধা পাচ্ছিলেন। এখন থেকে লেজিপে কার্ডের মাধ্যমে সমস্ত অনলাইন ওয়েবসাইট এবং ভিসা কার্ড গ্রহণকারী মার্চেন্ট আউটলেটগুলিতেও এটা ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের মাধ্যমে করা প্রতিটা লেনদেনে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাবেন গ্রাহকরা।
মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে লেজিপে কার্ড নিয়ে মুখ খোলেন পেইউ ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী প্রশান্ত রঙ্গনাথন। তাঁর কথায়, ‘এটা আমাদের বিএনপিএল অফারের এক্সটেনশন। প্রাথমিকভাবে আমরা টাকা মেটানোর জন্য ১৫ দিনের সুদমুক্ত সময় রেখেছিলাম। এখন সেটা বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হল’।