ট্যাক্স লায়াবিলিটির হিসেব করা:
প্রথমত বিনিয়োগ অথবা ট্যাক্স ডিডাকশনের পেমেন্টের পরে করদাতাকে ট্যাক্স লায়াবিলিটির হিসেব কষতে হবে। আসলে কিছু খরচ রয়েছে, যা এড়ানো যায় না। যেমন - ইপিএফ-এ অর্থ প্রদান, গৃহ ঋণ শোধ, বেতনের কিছু অংশ এনপিএস-এ রাখা, টার্ম ইনস্যুরেন্স প্ল্যান, এইচআরএ-র উপর ট্যাক্স ডিডাকশন ইত্যাদি।
দীর্ঘ মেয়াদের লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ করা উচিত:
advertisement
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ট্যাক্স সেভিং বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করার লক্ষ্য এড়িয়েই চলা ভাল। তার বদলে বরং দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিক লক্ষ্য-সহ বিনিয়োগ করা উচিত। এতে কর সাশ্রয়ের পাশাপাশি সম্পদও গড়ে উঠবে।
আয়কর ব্যবস্থার শনাক্তকরণ:
নিজের জন্য কোন আয়কর ব্যবস্থা (নতুন না পুরাতন) ভাল, সেটাই শনাক্ত করতে হবে বেতনভোগীদের। ট্যাক্স ম্যানেজমেন্টের জন্য বিনিয়োগকারীদের দুই ধরনের আয়কর ব্যবস্থার অধীনে নিজেদের ট্যাক্স লায়াবিলিটি হিসেব করতে হবে। প্রসঙ্গত, বাজেট ২০২০-তে আসলে নতুন কর ব্যবস্থা আনা হয়েছে।
ট্যাক্স ডিডাকশনের জন্য যোগ্য ভলান্টারি ইনভেস্টমেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে:
ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে অবশিষ্ট ট্যাক্স লায়াবিলিটি সঞ্চয় করতে হবে বিভিন্ন ধরনের ভলান্টারি ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে। এই বিনিয়োগের মধ্যে পড়বে ইএলএসএস, এনপিএস, ইউএলআইপি, ভিপিএফ, পিপিএফ এবং অন্যান্য ছোট সেভিংস স্কিম ইত্যাদি।
সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বিনিয়োগ বাঞ্ছনীয়:
বিনিয়োগ করার সময় অধিকাংশ মানুষ তার রিটার্নের হারটা পরীক্ষা করতে ভুলে যান। পিপিএফ এবং এফডি-র মতো বিনিয়োগের উপর রিটার্নের হার সব সময়ই ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপন প্রভৃতিতেই পাওয়া যাবে। কিন্তু এলএসএস, ইউএলআইপি ইত্যাদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিটার্নের হার কিন্তু অনিশ্চিত। আর এটা প্রতিদিনই ওঠা-নামা করে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই সব জায়গায় বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এর রিটার্নের হারকে অন্যান্য বিনিয়োগের রিটার্নের হারের সঙ্গে তুলনা করতে হবে।