গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন (GCMMF)-এর ৪৯-তম এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ১৯ অগাস্ট। বৈঠকে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শ্যামলভাই প্যাটেল জানান, “এই সহকারী সংস্থাটি ২০২২-২৩ সালে ব্যবসায় ১৮.৫ শতাংশ উন্নতি লাভ করেছে। যা আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয়। গত ৫০ বছর ধরে দুগ্ধ উৎপাদনকারী এবং গ্রাহকদের সঙ্গে একটা সমন্বয়ের সেতু গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে GCMMF। আর আমাদের ৬ জন প্রতিষ্ঠাতা ত্রিভুবনদাস প্যাটেল, মতিভাই চৌধুরী, গালবাভাই প্যাটেল, ভুরাভাই প্যাটেল, জগজীবনদাস প্যাটেল, যশবন্তলাল শাহ এবং ডা. ভার্গিস কুরিয়েন যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে GCMMF প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটাকেই সাফল্যে পরিণত করেছে আমুল। শুধু তা-ই নয়, ভারতীয়দের সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ডও হয়ে উঠেছে।”
advertisement
আরও পড়ুন– সাপের কপালে চুমু খেলেন এক ব্যক্তি! তারপর যা হল, না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না!
তিনি আমুলের লক্ষ্য প্রসঙ্গেও কথা বলেন। গোটা বিশ্বের গ্রাহকদের কাছে যাতে পৌঁছনো যায়, সেই উদ্দেশ্যে পূরণের দিকেই এগোচ্ছেন তাঁরা। আর আগামী ২-৩ বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার টার্নওভার অর্জন করার লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
আরও পড়ুন– বিশ্ব অর্থনীতিতে দৃঢ়চেতা ভারত! কোন মন্ত্রে আসছে সাফল্য, ব্যাখ্যা করবে Bullish On India
GCMMF-এর এমডি ইনচার্জ জনাব জয়েন মেহতা বলেছেন, “২০২২-২৩ আর্থিক বছরে, আমরা অধিকাংশ প্রধান ক্যাটাগরিতে ভাল পারফর্ম করতে পেরেছি। আমুল দুধ-ভিত্তিক পানীয়র ক্ষেত্রে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আর আমুল আইসক্রিমের ক্ষেত্রেও রেকর্ড ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আবার আমুল মাখন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ শতাংশ। এছাড়া আমুল ঘি কনজিউমার প্যাক ৯ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।”
এর পাশাপাশি আমুল লং লাইফ মিল্কে ২০ শতাংশ, আমুল দই-তে ৪০ শতাংশ, ফ্রেশ বাটারমিল্কে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি এবং বৃহত্তম পণ্য ক্যাটাগরিতে আমুল ফ্রেশ মিল্কে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা হল, বিশ্বব্যাপী বাজারে আমুলের উজ্জ্বল উপস্থিতি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তো বটেই, এছাড়া ভারতের বাইরে ৫০টি দেশেও বর্তমানে উপস্থিত রয়েছে আমুল।