সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডার-চ্যান্সেলর কেভি রমানির উদ্দেশ্য হল সাই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা। এই উদ্দেশ্যেই তিনি তাঁর সম্পত্তির এই বিপুর ভাগ দান করেছেন শ্রী সাই ট্রাস্টে। রমানি তাঁর পরিবারের জন্য সম্পত্তির ১২ শতাংশ রেখে, ৮০ শতাংশেরও বেশি সম্পত্তি শ্রী সাই ট্রাস্টে দান করে দিয়েছেন। বর্তমানে এই ট্রাস্ট আর কারও কাছ থেকে ডোনেশন গ্রহণ করে না। রমানির দেওয়া এই সম্পত্তি সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে খরচ করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- দীপাবলির সবচেয়ে বড় উপহার, কোভ্যাকসিনকে মান্যতা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
শ্রী সাই ট্রাস্ট বর্তমানে ১০০০-এর বেশি স্নাতক ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেয়, ৪০০০-এর বেশি জনগণকে মেডিক্যাল কেয়ার সাপোর্ট দিয়ে সাহায্য করে এবং পুরো ভারতে প্রতি দিন প্রায় ৫০০০-এর বেশি মিল সরবরাহ করে বিনামূল্যে। এছাড়াও শ্রী সাই ট্রাস্ট পুরো ভারতে প্রায় ৪৫০টি সাই মন্দিরে ফান্ড দিয়ে সাহায্য করে। শ্রী সাই ট্রাস্টের অধীনে গড়ে তোলা হয়েছে সাই বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে এটি শুরু হয়েছে। চেন্নাইয়ের ওল্ড মহাবলীপুরম রোডে এটি অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছে ৩টি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম। সেই তিনটি বিষয় হল লিবারাল আর্টস, সায়েন্স এবং টেকনোলজি। এছাড়াও সেখানে চালু করা হয়েছে আইনের পোস্টগ্র্যাজুয়েট কোর্স।
৭০ বছরের কেভি রমানি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমরা সকলকে শিক্ষা দিতে চাই একটি পরিষেবা হিসাবে, আমরা শিক্ষাকে কখনই ব্যবসা হিসাবে ব্যবহার করতে চাই না। সকলকে শিক্ষা দেওয়াই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। এর জন্য কারও কাছ থেকে একটা পয়সাও নেওয়া হবে না। সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সকলকে শিক্ষিত করে তোলাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’’
আরও পড়ুন- দীপাবলির সবচেয়ে বড় উপহার, কোভ্যাকসিনকে মান্যতা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য হল ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার আমূল উন্নতিসাধন করা। ভারত স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছর পরেও সারা বিশ্বে একটাও ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ৫০-এ জায়গা করতে পারেনি। সাই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হল অন্তত প্রথম ১৫০-র মধ্যে জায়গা করে নেওয়া। বর্তমানে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইনভেস্ট করা হচ্ছে ব্যবসার কথা মাথায় রেখে। কিন্তু সাই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্যে। পুরো বিশ্বের কাছে পৌঁছনোর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের বাইরে যাঁরা পড়তে যান, তাঁরা যেন দেশেই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য এটিকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হবে।