পোস্ট অফিসের সেভিংস স্কিম নির্দিষ্ট জায়গার সঙ্গে যুক্ত: ধারণাটা ব্যাঙ্কের হোম ব্রাঞ্চ কনসেপ্টের মতো। ধরা যাক কোনও বিনিয়োগকারী ওয়ারলির কোনও পোস্ট অফিসে কোনও একটি সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগ করেছেন। এখন তিনি কোনও কারণে চেম্বুরে থাকতে শুরু করলেন। তাহলে তাঁর পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্টও ওয়ারলি থেকে চেম্বুরে নিয়ে যেতে হবে। এটা ম্যানুয়ালি হবে। ফলে কয়েক মাস থেকে বছর লাগতে পারে। কারণ পোস্ট অফিসে আমানতের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই অ্যাকাউন্ট স্থানান্তর একটা দুঃস্বপ্নের মতো।
advertisement
পোস্ট অফিস সেভিংস স্কিম কারেন্সি নোটের মতো: যদিও এনএসসি বা কিষাণ বিকাশ পত্রের মতো পোস্ট অফিসের সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগকারীর নাম থাকে। কিন্তু শংসাপত্র একবার হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে বিনিয়োগকারীকে তাঁর দাবি আদায়ের জন্য বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, যে কেউ বিনিয়োগের টাকা তুলে নিতেও পারে।
আরও পড়ুন: খালি দুধের প্যাকেট নিয়ে গেলে এই পেট্রোল পাম্পে বিপুল কম দামে মিলবে পেট্রোল
ডিজিটাল ব্যবস্থা নয়: মিউচুয়াল, ফান্ড, ইক্যুইটি, গোল্ড ইত্যাদির বিনিয়োগ মাধ্যমের মতো পোস্ট অফিসের সেভিংস স্কিমগুলো অনলাইনে পরিচালনা করা যায় না। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারী তাঁর অ্যাকাউন্ট ট্র্যাক করতে বা অনলাইনে বিনিয়োগ করতে পারেন না। ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েই পাসবুক আপডেট করতে হবে। অনলাইনের যুগে কে এ জিনিস পছন্দ করবে!
পোস্ট অফিসের কর্মীদের অসহযোগিতা: কারও প্রতি অভিযোগ করা হচ্ছে না। কিন্তু পোস্ট অফিসের কর্মীদের দুর্ব্যবহার নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। কর্মীদের আচরণ দেখলে মনে হয় যেন গ্রাহকদের উদ্ধার করে দিচ্ছেন। পোস্ট অফিসের কর্মীদের আরও গ্রাহকবান্ধব এবং পেশাদার হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাম্পার খবর! অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার
এজেন্টরাই পোস্ট অফিস শাসন করে: পোস্ট অফিস বর্তমানে এজেন্টদের দখলে। একবার পোস্ট অফিসে পা রাখলেই এটা কতটা সত্য বোঝা যাবে। সামান্য অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলেই এজেন্টরা ছেঁকে ধরবে। শুধু তাই নয়, কাউন্টারের কর্মীরাও এজেন্টদের সাহায্য নেওয়ার প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। পোস্ট অফিস এজেন্টরা তাদের মাধ্যমে খোলা সমস্ত পোস্ট অফিস সেভিংস স্কিমের জন্য কমিশন পান।