প্রাথমিক খরচ:
ডিজেল কিংবা ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় পেট্রোল গাড়ির দাম বেশ কমই হয়। আবার পেট্রোল গাড়ির তুলনায় ডিজেল গাড়ির দাম বেশি। তবে সেই তুলনায় ইলেকট্রিক গাড়ির দাম অনেকটাই বেশি। তবে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম ধীরে ধীরে কমছে। যেমন – টাটা নেক্সন পেট্রোল, ডিজেল এবং ইভি এই তিন ভ্যারিয়েন্টেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
advertisement
পেট্রোল: বেস মডেলের দাম ৭.৭৯ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম এবং দিল্লিতে ৮.৭৫ লক্ষ টাকা অন-রোড।
ডিজেল: বেস মডেলের দাম ৯.৯৯ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম এবং দিল্লিতে ১১.৪ লক্ষ টাকা অন-রোড।
আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ টাকার FD-তে ৫ লক্ষ টাকা সুদ! সোজা কথায় পয়সা ডবল! SBI-এর এই স্কিমের কথা শুনেছেন তো?
ইভি: সবথেকে সস্তা ইভি মডেল – ইভি প্রাইমের দাম ১৪.৪৯ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম এবং দিল্লিতে ১৫.২৫ লক্ষ টাকা অন-রোড।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, পেট্রোল ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ইভি-র মূল্য ৬.৫০ লক্ষ টাকা এবং ডিজেল ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ইভি-র মূল্য ৪ লক্ষ টাকা বেশি।
রক্ষণাবেক্ষণের খরচ:
পেট্রোল গাড়ির ক্ষেত্রে এই খরচ খুব একটা বেশি নয়। তবে সেই তুলনায় ডিজেল গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই বেশি। এর অন্যতম কারণ হল ইঞ্জিন এবং এমিশন কন্ট্রোল সিস্টেমের জটিলতা। সেই জায়গায় ইলেকট্রিক গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়া ইন্টারনাল কমবাসশন ইঞ্জিন ভেহিকেলের তুলনায় সার্ভিসিং কিংবা তেল বদলের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চেহারা; প্রতি কামরায় থাকবে AC-TV! জেনে নিন কবে থেকে মিলবে এই সুবিধা!
সরকারি ইনসেন্টিভ:
পেট্রোল অথবা ডিজেল গাড়ির ক্ষেত্রে ইনসেন্টিভ দেয় না ভারত সরকার। তবে ইভি-র প্রচারের জন্য নানা ধরনের ইনসেন্টিভ এনেছে। ফলে ইভি-তে কম জিএসটি রেট, ট্যাক্স বেনিফিট এবং ক্রয় ভর্তুকির মতো সুবিধা পাওয়া যায়।
জ্বালানির খরচ:
এক্ষেত্রে সর্বাধিক দামী হল পেট্রোল গাড়ি। কারণ বর্তমানে পেট্রোল হল মূল্যবান জ্বালানি। আর ডিজেল ইঞ্জিনের তুলনায় তা কম মাইলেজ দেয়।
এক্ষেত্রে আবার ডিজেল গাড়ির খরচ কম। এর পাশাপাশি ডিজেল গাড়ি সাধারণ ভাবে ভাল ফুয়েল এফিশিয়েন্সির সুবিধা দেয়। ফলে জ্বালানির খরচও কম হয়।
ডিজেল ইঞ্জিন সাশ্রয় করলেও তা ইভি-র মতো সুবিধা প্রদান করতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে টাটা নেক্সনের কথা। দিল্লির হিসেবটাই দেওয়া যাক।
পেট্রোল: প্রতি লিটার জ্বালানির খরচ ৯৭ টাকা, মাইলেজ ১৭.৩৩ কেএমপিএল, অ্যানুয়াল রানিং ১৮০০০ কিলোমিটার, প্রতি কিলোমিটারে খরচ ৫.৬ টাকা এবং অ্যানুয়াল রানিং কস্ট ১০৮০০০ হাজার টাকা।
ডিজেল: প্রতি লিটার জ্বালানির খরচ ৯০ টাকা, মাইলেজ ২৩.২২ কেএমপিএল, অ্যানুয়াল রানিং ১৮০০০ কিলোমিটার, প্রতি কিলোমিটারে খরচ ৩.৯ টাকা এবং অ্যানুয়াল রানিং কস্ট ৭০২০০ টাকা।
ইভি: সর্বোচ্চ শুল্ক প্রতি কিলোওয়াট আওয়ারে ৮ টাকা, মাইলেজ প্রতি চার্জে ৩১২ কিলোমিটার, অ্যানুয়াল রানিং ১৮০০০ কিলোমিটার, প্রতি কিলোমিটারে খরচ ০.৮ টাকা এবং অ্যানুয়াল রানিং কস্ট ১৪৪০০ টাকা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে, ইভি-র ব্যাটারির গ্যারান্টি থাকে ৮ বছর। আর তা পরিবর্তন করতে গেলে বেশি খরচ হয়ে যেতে পারে।