এবিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, “বাংলার গ্রামাঞ্চলে বিশেষত আদিবাসী সমাজের মধ্যে বাঁশের বিভিন্ন হাতের কাজের প্রচলন দীর্ঘদিনের কিন্তু সেই শিল্প ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাঁশের বিভিন্ন আসবাব এবং ঘর সাজানোর জিনিসপত্রের ভাল চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন বাজারে। সেই দিকে নজর রেখেই এই ধরনের প্রশিক্ষণ এবং এর মাধ্যমে বেশ কিছু বেকার যুবক যুবতী তাদের নতুন কর্মসংস্থানের দিশা পাবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি।”
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর অবসর নিতে চাইছেন ? বর্তমানে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা বিনিয়োগ কি যতেষ্ট হবে? দেখুন হিসেব
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বাম্বু মিশন’ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যই হল উন্নত ও নতুন জাত দিয়ে ফলন বাড়ানো। সম্ভাব্য এলাকায়, বাঁশের জন্য এলাকা বাড়ানো। বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের প্রচার ও বিপণন। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং উড়িষ্যা কে অন্তর্ভুক্ত করে শুরু করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বাম্বু মিশন’ প্রকল্প। এর ফলে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ, বাঁশের সামগ্রী তৈরি এবং বিপণনের মাধ্যমে এলাকার আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তর পূর্বের আসাম, ত্রিপুরা বাঁশের সামগ্রী তৈরি করে আর্থিকভাবে সফল হয়েছে, এমনকি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টাকা বাড়তেই থাকবে, SIP দেয় এই ৫ বড় সুবিধা, জানলেই বিনিয়োগও হবে স্মার্ট
আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং ঐতিহ্যগত জ্ঞানের নিখুঁত মিশ্রণের মাধ্যমে প্রযুক্তির বিকাশ। দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের বিশেষ করে বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। এই প্রকল্পটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষক, স্থানীয় কারিগর এবং বাঁশ খাতে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপকৃত করবে। প্রায় এক লাখ হেক্টর জমিকে আবাদের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে প্রায় এক লাখ কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। এমনকি বাঁশের পণ্য আমদানি করতে এবং কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।