কেওয়াইসি সংক্রান্ত ‘মাস্টার’ নির্দেশিকা সংশোধন: একাধিক পর্যালোচনার পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেওয়াইসি সংক্রান্ত ‘মাস্টার’ নির্দেশিকা সংশোধন করল। ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি এবং আরবিআই-এর আওতাধীন অন্যান্য সংস্থাগুলিকে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী গ্রাহকদের এই বিষয়ে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: LIC-র প্রিমিয়াম দিতে পারছেন না? সারেন্ডার করলে কত টাকা পাওয়া যাবে, দেখে নিন এক নজরে
কেন পরিবর্তন করা হল: অ্যান্টি মানি লন্ডারিং নিয়ম, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং তাদের ডেলিভারি সিস্টেম (বেআইনি কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা) আইন সম্পর্কিত সরকারের নতুন নির্দেশের পরে আরবিআই এই সংশোধনী নিয়ে এল।
advertisement
এফএটিএফ-এর সুপারিশের ভিত্তিতে তৈরি নির্দেশিকা: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে এফএটিএফ (ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স)-এর সুপারিশ অনুসারে কিছু নির্দেশনা আপডেট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবধান; এই স্পাইওয়ার চুরি করতে পারে টাকা এবং রেকর্ড করতে পারে ফোন কল, এই ভুল যেন না হয়
সর্বশেষ মাস্টার নির্দেশাবলীতে বলা হয়েছে যে কে ওয়াইসি-এর পর্যায়ক্রমিক আপডেটের জন্য ব্যাঙ্ক এবং নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ঝুঁকি-ভিত্তিক পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে।
গ্রাহক সম্পর্কিত সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে যেখানে ঝুঁকি বেশি।
প্রসঙ্গত, কেওয়াইসি হল ‘নো ইওর কাস্টমার’ বা ‘আপনার গ্রাহককে জানুন’। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক গ্রাহকের পরিচয় এবং ঠিকানা সম্পর্কিত তথ্য পায়। ব্যাঙ্কিং পরিষেবার যাতে অপব্যবহার না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ই ব্যাঙ্কগুলিকে কেওয়াইসি ডিটেলস দিতে হয় এবং একটা সময় অন্তর আপডেট করতে হয়।
–
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সাম্প্রতিক ছবি-সহ পরিচয়ের প্রমাণ এবং ঠিকানার প্রমাণ জমা দিতে হয়। পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে কেন্দ্র সরকার ৬টি নথিকে অফিসিয়াল ভ্যালিড ডকুমেন্টসের মর্যাদা দিয়েছে। সেগুলি হল – পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটারদের পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, ইউআইডিএআই দ্বারা জারি করা আধার কার্ড এবং এনআরইজিএ কার্ড। পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে এর যে কোনও একটা জমা দিতে হবে। এর সঙ্গে ঠিকানাও থাকে। কিন্তু যদি না থাকে তাহলে আলাদা করে ঠিকানার বিবরণ রয়েছে এমন নথি জমা দিতে হবে।