এই প্রসঙ্গে ১ ফেব্রুয়ারি বাজেটে নির্মলা বলেছিলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং ফিনটেক উদ্ভাবনগুলি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহক-বান্ধব পদ্ধতিতে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা দেশের প্রতিটা প্রান্তে পৌঁছে দিতে ক্রমাগত উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে এই পরিকল্পনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে দেশের ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট স্থাপনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে’।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে ৬ কোটি টাকার মূলধন, কোন মিউচুয়াল ফান্ডে কত বিনিয়োগ করলে মিলবে? দেখে নিন!
ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট কী: এপ্রিল মাসের শুরুতে ভারতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং গ্রুপের রিপোর্ট অনুসরণ করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির জন্য একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট হল একটি বিশেষ ফিক্সড পয়েন্ট বিজনেস ইউনিট বা হাব যেখানে ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পণ্য এবং পরিষেবাগুলি সরবরাহ করার পাশাপাশি যে কোনও সময়ে স্ব-পরিষেবা মোডে ডিজিটালভাবে বিদ্যমান আর্থিক পণ্য এবং পরিষেবাগুলি সরবরাহ করার জন্য নির্দিষ্ট ন্যূনতম ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।
কে এই ডিবিইউ সেট আপ করবে: ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে (আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, পেমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং স্থানীয় সমবায় ব্যাঙ্ক ছাড়া) টায়ার ১ থেকে টায়ার ৬ এলাকায় ডিবিইউ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষের আগে পোস্ট অফিসের এই স্কিমগুলো থেকে টাকা তোলা যায়, জানুন সমস্ত নিয়ম!
ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট থেকে কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে: আরবিআই-এর (RBI) নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি ডিবিইউকে (DBU) অবশ্যই নির্দিষ্ট ন্যূনতম ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পণ্য এবং পরিষেবা প্রদান করতে হবে। পরিষেবাগুলির মধ্যে বিভিন্ন স্কিমের অধীনে সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট এবং রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। গ্রাহকদের জন্য ডিজিটাল কিট, মোবাইল ব্যাঙ্কিং, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, এবং গণ ট্রানজিট সিস্টেম কার্ড দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য ডিজিটাল কিট, ইউপিআই কিউ আর কোড, ভিম, আধার এবং বিক্রয়ের পয়েন্ট পরিষেবা মিলবে।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি মন্দা, বিনিয়োগ করুন আন্তর্জাতিক মিউচুয়াল ফান্ডে
অন্যান্য পরিষেবাগুলির মধ্যে এমএসএমই বা ঋণের জন্য গ্রাহকরা আবেদন করতে পারবেন, এর মধ্যে এই ধরনের ঋণের এন্ড-টু-এন্ড ডিজিটাল প্রক্রিয়াকরণও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এছাড়াও অনলাইন আবেদন থেকে শুরু করে বিতরণ এবং চিহ্নিত সরকারি স্পনসরড স্কিম যা জাতীয় পোর্টালের আওতায় রয়েছে সে সব পরিষেবাও মিলবে।