এখন বছর শেষের সময়। গুগল ‘ইয়ার ইন সার্চ ২০২২’ প্রকাশ করেছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া কিওয়ার্ডগুলোর মধ্যে প্রথমের দিকে রয়েছে ‘কীভাবে অনলাইনে আইটিআর ফাইল করবেন’ কিওয়ার্ড রয়েছে অষ্টম স্থানে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে, ২৪ জুলাই থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই সার্চ হয়েছে। প্রসঙ্গত, আয়কর রিটার্ন ফাইল করার শেষ তারিখ ছিল ৩১ জুলাই।
advertisement
ই-ফাইলিং পোর্টালে অনলাইনে আইটিআর ফাইল করা যায়। আইটিআর, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ফর্ম ১৬, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, প্রমাণ-সহ বিনিয়োগের বিশদ এবং অন্যান্য আয়ের প্রমাণ পূরণ করতে হয়। শুধু তাই নয়, আইটিআর ফাইল করতে প্যান এবং আধার কার্ডের লিঙ্ক থাকতে হবে। আয়কর প্রদানকারীর ই-মেইল আইডিও আয়কর বিভাগে নিবন্ধিত হওয়া উচিত।
অনলাইনে আইটিআর দাখিল করার পদ্ধতি: প্রথমে যেতে হবে আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.incometax.gov.in/iec/foportal/ -এ।
ইউজার আইডি অর্থাৎ প্যান, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে লগ ইন করতে হবে।
ই ফাইল মেনুতে গিয়ে ক্লিক করতে হবে আয়কর রিটার্ন লিঙ্কে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরিকল্পনা? এক নজরে দেখে নিন কেন লাইফ ইনস্যুরেন্স বাদ দিলে চলবে না!
আরও পড়ুন: এভাবে ক্রেডিট স্কোর ভাল করা যায়, লোন বা ক্রেডিট কার্ড নিতে সমস্যা হবে না!
এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই আয়কর রিটার্ন পেজ। এখানে আইটিআর ডেটাবেসের সঙ্গে লিঙ্ক করা প্যান নম্বর দিতে হবে। এরপর ক্লিক করতে হবে ‘ফাইল নাও’ ট্যাবে।
এবার কোন বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান সেটা বাছতে হবে। স্বাভাবিকভাবে ২০২২-২৩-এ ক্লিক করতে হবে।
এবার অনলাইন মোড অফ ফিলিং-এ ক্লিক করতে হবে। এখানে ব্যক্তিগত, এইচইউএফ নাকি অন্যান্য অর্থাৎ স্ট্যাটাস জিজ্ঞাসা করা হবে। এরপর বেছে নিতে হবে আইটিআর ফর্ম।
মোট আয় ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে আইটিআর ১-এ ক্লিক করতে হবে। এই আয়ের মধ্যে রয়েছে বেতন, সম্পত্তি ও সুদ থেকে প্রাপ্ত উপার্জন এবং কৃষি থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত আয়।
যদি ব্যক্তি, এইচইউএফ এবং ফার্ম (এলএলপি ব্যতীত) হয় এবং আয় ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় এবং ৪৪এডি, ৪৪এডিএ বা ৪৪এই ধারা অনুসারে ব্যবসা এবং পেশা থেকে আয় থাকে তবে আইটিআর 4-এ ক্লিক করতে হবে।
ধরা যাক কেউ আইটিআর ১-এ ক্লিক করেছেন। তারপর তাঁকে ‘লেটস গেট স্টার্ট’-এ ক্লিক করতে হবে। এ বার রিটার্ন দাখিল করার কারণ জানাতে হবে।
এ বার আয়কর বিভাগকে দেওয়া যাবতীয় তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। নতুন নথি আপলোড করে এখানে বেশিরভাগ কলাম পরিবর্তন করা যায়। সমস্ত তথ্য পূরণের পর ‘কনফার্ম’-এ ক্লিক করতে হবে।
এখন 'ট্যাক্স পেইড অ্যান্ড ভেরিফিকেশন' ট্যাবে উপযুক্ত যাচাইকরণ বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে। এখানে অবিলম্বে ই যাচাই করা যায়। কিংবা ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১২০ দিন পরেও যাচাই করা যায়।
ই-ফাইলিং পোর্টালে প্রতিটি ধাপের পর ‘সেভ ড্রাফট’-এ ক্লিক করা উচিৎ। নাহলে একটা সময়ের পর যাবতীয় তথ্য মুছে যাবে।
খসড়া সংরক্ষণ করার সময় থেকে বা আইটিআর ফাইল করা পর্যন্ত ৩০ দিনের জন্য আইটিআর ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা হয়।