আরও পড়ুন: আপনারও কী রেশন কার্ড হারিয়ে গিয়েছে ? দেখে নিন ডুপ্লিকেট কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া....
প্রসেসিং ফি:
ঋণ অনুমোদনের পর এককালীন হিসেবে যে চার্জ দিতে হয়, সেটাই প্রসেসিং ফি। আবেদনকারীর আবেদনের সত্যতা, সম্পত্তির মূল্য, আবেদনের সঙ্গে দেওয়া নথিপত্রগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে যাচাই করেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এই কাজটি সম্পাদন করার জন্যই আবেদনকারীর থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নেয় ব্যাঙ্ক। সাধারণত এই প্রসেসিং ফি ১০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই চার্জ ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে মনে রাখতে হবে যে, এই টাকা এককালীন নেওয়া হয় এবং ফেরতযোগ্য নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাতিল করা হয়েছে ৪০০-র বেশি ট্রেন, রুট বদল করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের, দেখে নিন পুরো লিস্ট
প্রি-পেমেন্ট চার্জ:
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে, ফ্লোটিং রেট হোম লোনের সঙ্গে কোনও প্রি-পেমেন্ট চার্জ লাগবে না। যে সব গ্রাহক নির্দিষ্ট সুদের হারে হোম লোন নিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য নয়। তবে যদি ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা করেন, তখন ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রি-পেমেন্ট চার্জ কাটে।
প্রযুক্তিগত এবং আইনি মূল্যায়ন ফি:
গ্রাহকের হোম লোনের আবেদন যাচাই করার সময় সম্পত্তির আইনগত এবং প্রযুক্তিগত মূল্যায়নের জন্য এক জন তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক। তার জন্যই দিতে হয়, প্রযুক্তিগত ফি এবং আইনি মূল্যায়ন ফি।
- প্রযুক্তিগত বা কারিগরি মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক দেখে যে, ব্যাঙ্কের এই লোন দেওয়া উচিত কি না। একই সঙ্গে লোনের জন্য গ্রাহক যে সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছে, তার বিক্রয়মূল্য কত, তা-ও যাচাই করা হয়।
- গচ্ছিত রাখা সম্পত্তি যাবতীয় বিবাদের ঊর্ধে কি না, বা তার মালিকানা নিয়ে কোনও প্রকার আইনি জটিলতা আছে কি না, তা-ও আইনি মূল্যায়নের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় ব্যাঙ্ক।
গৃহ ঋণের উপর জিএসটি:
হোম লোন দেওয়ার সময় ব্যাঙ্ক গ্রাহককে অনেকগুলি পরিষেবা প্রদান করে। যা পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি-র আওতায় আসে। ফলে গ্রাহক যখন গৃহ ঋণ নেবেন, তখন প্রসেসিং ফি, প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন ফি, আইনি ফি-র উপর জিএসটি চার্জ করবে।
আরও পড়ুন: আজ পেট্রোল-ডিজেলের কী দাম কলকাতায় ? জেনে নিন এখানে
ডকুমেন্টেশন চার্জ:
সমস্ত নথিতে স্বাক্ষর করার পর ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারিং সার্ভিস বা ইসিএস-এর জন্য আবেদনকারীর থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নেয় ব্যাঙ্ক। এটাই ডকুমেন্টেশন চার্জ। এ ছাড়াও গচ্ছিত রাখা সম্পত্তি নিবন্ধিত হওয়ার পর ঋণ শোধের মেয়াদ কাল পর্যন্ত নিরাপদে রাখার জন্য এক জন তৃতীয় ব্যক্তিকে নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক। তাঁকেও অর্থ প্রদান করতে হয়। এটাকেও ডকুমেন্টেশন চার্জ হিসেবে ধরা হয়।
লোনের মেয়াদ পরিবর্তনের জন্য ফি:
ধরা যাক, গ্রাহক ১৫ বছরে ঋণ শোধের মেয়াদ বেছে নিয়েছেন। এখন যদি আর্থিক চাপ বা অন্য কোনও কারণে এই ঋণের মেয়াদ বাড়াতে হয়, তা হলে ব্যাঙ্ক একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফি হিসেবে নেবে। আবার মেয়াদ কমাতে চাইলেও এই ফি প্রযোজ্য হবে।
কানভার্সন ফি:
বর্তমানে আবেদনকারী যে সুদের হারে ঋণ নিয়েছেন, তা কমানোর জন্য যদি অপেক্ষাকৃত কম সুদের হারে কোনও ঋণ প্রকল্পে স্কিম বদলে নিতে চান, তা হলে ফি হিসেবে যে টাকা ধার্য করা হয়, সেটাই কানভার্সন ফি বা রূপান্তর চার্জ।
কিস্তির টাকা দিতে দেরি হলে:
হোম লোন শোধের জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিস্তির টাকা মেটাতে হয়। এখন যদি সেই টাকা দিতে দেরি হয়, তা হলে জরিমানা নেয় ব্যাঙ্ক। এটাকে পেমেন্ট পেনাল্টি বলা হয়।
বাউন্স চেক চার্জ:
গ্রাহক যদি চেকের মাধ্যমে ঋণের টাকা মেটান, আর তা যদি অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে বাউন্স করে, তা হলে কিস্তির সঙ্গে জরিমানাও গুনতে হবে।
বিশেষজ্ঞের মতামতের জন্য ফি:
অনেক সময় আবেদনকারী তাঁর ঋণের খুঁটিনাটি বিষয়ে বুঝতে কোনও বিশেষজ্ঞ বা আইনজীবীর পরামর্শ চাইতে পারেন। তার জন্য একটি ফি দিতে হয়। তবে এই ফি সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দিতে হবে, ব্যাঙ্ককে নয়।
ফোটোকপি ফি:
যদি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হোম লোনের নথির ফোটোকপির প্রয়োজন হয়, তা হলে তাঁর জন্য ব্যাঙ্ককে ফি দিতে হবে।