স্টক মার্কেটে গ্রিন সু অপশন বলতে কী বোঝায়?
আইপিওতে গ্রিন সু অপশন হল এমন একটি বিষয় যা বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের মূল্য নিয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করে। এর মাধ্যমে লগ্নিকারিদের নিশ্চিত করা হয় যে কোম্পানির শেয়ার ভালো দামে তালিকাভুক্ত আছে এবং তার দাম কখনওই আইপিও দামের নিচে নামবে না। কোনও একটি কোম্পানির আইপিও বাজারে আনতে গেলে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের সাহায্য দরকার হয় যাদের আন্ডাররাইটার্স (Underwriters) বলে।
advertisement
গ্রিন সু অপশন-এর মাধ্যমে কোনও একটি কোম্পানির শেয়ারের দামকে স্থিতাবস্থায় রাখতে আন্ডাররাইটার্সদের বাজারে সর্বাধিক ৩০ দিনের জন্য হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দেয়। এই সময়ে তারা সর্বাধিক ১৫% শেয়ার কিনে নিতে পারে। বাজারে নথিভুক্তকরণের পরও যদি শেয়ারের দাম আইপিওর থেকে কম হয় তাহলে আন্ডাররাইটার্সরা এর থেকেও বেশি শেয়ার বাজার থেকে কিনে নিতে পারে, যাতে বাজারে একটা চাহিদা (Demand) তৈরি হয়। এই চাহিদার কারণেই শেয়ারের দামকে সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া থেকে আটকানো যায়। ফলস্বরূপ, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এটিকে নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বেছে নেয় এবং ওই স্টকে লগ্নিকারির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
গ্রিন সু অপশন কীভাবে কাজ করে?
সাধারণত গ্রিন সু অপশন দুভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত, কোনও কোম্পানির শেয়ার বাজারে নথিভুক্তকরণের সময়ের দাম ইস্যুর সময়ের দামের চেয়ে বেশি হয় তাহলে আন্ডাররাইটার্সরা ইস্যুর সময়ের দামে শেয়ার কিনে নেয়। এই ক্রয়কে তারা বিনিয়োগকারীদের সামনে লাভের খাতায় যুক্ত করে। অন্য দিকে উল্টো ব্যাপার ঘটলে, আন্ডাররাইটার্সরা কোম্পানির থেকে নেওয়ার পরিবর্তে বাজার থেকে শেয়ার কিনে নেয় যার ফলে বাজারে এই স্টকের চাহিদা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: গরমে এবার আগুন জ্বালাবে লঙ্কা! ব্যাপক বাড়বে দাম? বাংলার সব্জির ভাণ্ডারে আশঙ্কা
এই সমস্ত প্রক্রিয়া কার্যকরী হয় আন্ডাররাইটার্স এবং কোম্পানির মধ্যে আইনত চুক্তির মাধ্যমে। গ্রিন সু অপশন বিষয়টি সেবি ২০০৩ সালে বিএসই এবং এনএসইতে নথিভূক্ত কোম্পানিগুলির শেয়ারের দাম স্থিতাবস্থায় ফেরতের জন্য প্রথম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়।