ব্যাঙ্কের মতোই কিছু সংস্থা এবং এনবিএফসি (NBFC)- ও স্বল্প মেয়াদে নির্দিষ্ট সুদের হারে গ্রাহকদের থেকে আমানত সংগ্রহের অনুমতি পায়। একেই কর্পোরেট ফিক্সড ডিপোজিট বলা হয়। ব্যাঙ্কের মতোই এখানে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু কর্পোরেট ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের থেকে অধিক সুদ পাওয়া যায়।
তবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখা দরকার।
ক্রেডিট রেটিং—
advertisement
কর্পোরেট এফডি নেওয়ার আগে প্রথমে সেই সংস্থার ‘ক্রেডিট রেটিং’ (Credit Rating) দেখে নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণত সব থেকে ভাল রেটিং যুক্ত সংস্থার সুদের হার কম হয়ে থাকে। কিন্তু এতে বিনিয়োগকারীর টাকা বেশি সুরক্ষিত থাকবে। রেটিং কম হলে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। অর্থাৎ, AAA রেটিং যুক্ত সংস্থার রিটার্ন কম, সুরক্ষা বেশি। বিশেষজ্ঞরা সুরক্ষার দিকেই বেশি মনোনিবেশ করার পক্ষপাতি।
আরও পড়ুন: 'আপনি অনেক কাজ করছেন, চালিয়ে যান', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেন মুখ্যমন্ত্রী!
স্বল্প মেয়াদে আমানত—
ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ক্রমাগত রেপো রেট বাড়িয়ে চলেছে। এর ফলে সুদের হারও বাড়বে। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের স্বল্প মেয়াদী স্থায়ী আমানতে (FD) বিনিয়োগ করতে হবে। এতে বিনিয়োগকারীর টাকা খুব তাড়াতাড়ি ম্যাচিওর হবে এবং সেটি দ্বিতীয় কোনও ভালো রিটার্ন যুক্ত ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা যাবে।
আয়করের বোঝা—
মনে রাখা প্রয়োজন যে ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে আয়কর দিতে হয়। কর্পোরেট ফিক্সড ডিপোজিটে এক বছরে যদি ৫০০০ টাকার অধিক রিটার্ন পাওয়া যায় তা হলে ১০ শতাংশ টিডিএস (TDS) দিতে হয়।
আরও পড়ুন: হাতে 'গোপন' তথ্য, দিল্লি থেকে আসছেন বাছাই ইডি অফিসাররা! নিশানায় অভিষেক
আমানতের বিভাজন—
বিভিন্ন ব্যাঙ্কে আলাদা আলাদা সময়ের জন্য কর্পোরেট ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এতে টাকা বেশি সুরক্ষিত থাকবে। বিনিয়োগকারীরা ১৮০ দিন থেকে ৫ বছরের জন্য ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে যাঁদের কিছুদিনের মধ্যেই টাকার প্রয়োজন তারা ১৫ দিন অথবা ৪৫ দিনের জন্য ফিক্সড ডিপোজিট বেছে নিতে পারেন।