পেনি স্টকগুলি বিনিয়োগকারীদের খুব পছন্দের। কারণ এর দাম খুব কম। কিছু শেয়ার তো এক টাকারও কম দামে পাওয়া যায়। তাই এই শেয়ারগুলিকে ‘চৌয়ান্নি’ শেয়ারও বলা হয়। বেশিরভাগ সময়ই এই শেয়ারগুলি বিনিয়োগকারীদের দু’হাত ভরিয়ে দেয়। তবে টাকা ডুবেছে এমন ঘটনার উদাহরণও কম নেই।
পেনি স্টক কী?
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছোট কোম্পানির শেয়ারের দাম কম। এই স্টকগুলিকে পেনি স্টক বলা হয়। সব স্টক এক্সচেঞ্জেই এ সব শেয়ারের দাম আলাদা। সাধারণত এদের মূল্য ১০ টাকার কম হয়। কম দামের কারণে এই স্টকগুলির লিকুইডিটিও খুব কম। কিন্তু এই কারণেই বিনিয়োগকারীরা অল্প টাকায় প্রচুর শেয়ার কিনতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল, গন্তব্য হাসপাতাল! ভর্তি হওয়া নিয়ে জল্পনা
কোথায় ভুল হতে পারে?
স্টক মার্কেটে, বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী একটি মাত্র কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং তার রিটার্ন দেখেই অর্থ বিনিয়োগ করেন। এমনটা করলে অনেক সময় বড় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। পেনি স্টকে বিনিয়োগ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যদি একটি স্টক বাজারে ওঠে তবে দুর্দান্ত রিটার্ন দিতে পারে। কিন্তু এতে টাকা ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা একই থাকে।
আরও পড়ুন: এবার শুভেন্দুর পাশে সুজন চক্রবর্তী! বিরোধী দলনেতার কাজকে 'বাহবা' বাম নেতার!
পেনি স্টকে টাকা বিনিয়োগ করা কি ঠিক?
যে কোনও পেনি স্টকে বিনিয়োগ করতে চাইলে শুধুমাত্র শেয়ারের মূল্য বা এর রিটার্ন দেখলে চলবে না। প্রথমে কোম্পানির পুঙ্খানুপুঙ্খ মৌলিক বিশ্লেষণ করতে হবে। কোম্পানির ব্যবসা এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এ ছাড়া ওই কোম্পানির বাজারে কোনও ঋণ আছে কিনা তাও দেখতে হবে। সেই কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী তাও খুঁজে বের করতে হবে। এ সব দেখার পর সঠিক মনে হলে তবেই কোনও পেনি স্টকে টাকা বিনিয়োগ করা উচিত।
হঠাৎ দাম বৃদ্ধির সিঁদুরে মেঘ:
খেয়াল রাখতে হবে, কোনও কোম্পানির শেয়ার বিক্রি বন্ধ হয়ে গেলে বা কমে গেলে অনেক সময় কোম্পানির প্রোমোটাররা বিপুল পরিমাণে শেয়ার কেনা শুরু করে। এ কারণে সে সব শেয়ারের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে। বিনিয়োগকারীরা দেখেন শেয়ারের মূল্য বাড়ছে। অথচ সেটা অন্যায় ভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এমন স্টকে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি থাকে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
পেনি স্টক বিনিয়োগ করার সময় কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
পেনি স্টক বিনিয়োগ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। ঘন ঘন আপার বা লোয়ার সার্কিট থাকলে পেনি স্টকে বিনিয়োগ এড়িয়ে চলতে হবে। এই স্টকগুলি দেখে মনে হবে ভাল রিটার্ন দিতে পারে কিন্তু এই সার্কিটের কারণে শেয়ারগুলি বিক্রি করা যাবে না। বিনিয়োগকারীকে সেই ক্ষতি বহন করতে হবে।