আসলে সকলেই জরুরি সময় সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে চান। আর এর জন্য সকলেই স্বাস্থ্য বিমা বা হেলথ ইন্স্যুরেন্সে (Health Insurance) বিনিয়োগ করতে চান। কারণ আচমকা স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে মুহূর্তের মধ্যে বিপুল টাকার প্রয়োজন হয় তার চিকিৎসার জন্য। আর এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই হেলথ ইন্স্যুরেন্স অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বর্তমানে সকলেই স্বাস্থ্য বিমায় বিনিয়োগ করতে চাইছেন। কিন্তু আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে। এর জন্য অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না, কোথায় স্বাস্থ্য বিমা করালে সবথেকে ভালো পরিষেবা পাওয়া যাবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, স্বাস্থ্য বিমা সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত।
advertisement
আর বিশেষজ্ঞরা সব সময় বেশি টাকার কভারেজ যুক্ত হেলথ পলিসি (Health Insurance Policy Cover) বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি মানিকন্ট্রোল এই বিষয়ে একটি হেলথ ইন্স্যুরেন্স রেটিংও জারি করেছে। এর মাধ্যমে উপযুক্ত স্বাস্থ্য বিমা বেছে নিয়ে উপকৃত হবেন সকলে। স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে শুধু পলিসি কেনাটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ-ক্ষেত্রে কত টাকার বিমা কভার করা হচ্ছে, সেই বিষয়টাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ঝড় তুলেছে সিবিআই, সাত জায়গায় পরপর হানা! তালিকায় বিধায়ক, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা
শহর অথবা জায়গার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা -
হেলথ পলিসি অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিমার কভারেজ কত টাকার হওয়া উচিত, সেটা নির্ধারিত হয় কে কোন জায়গায় অর্থাৎ কোন শহরে বসবাস করেন, তার ওপর। নিবা বুপা হেলথ ইন্স্যুরেন্সের ডিরেক্টর ভবতোষ মিশ্র জানিয়েছেন যে, দিল্লি এবং ভুবনেশ্বরের মধ্যে হেলথকেয়ার সংক্রান্ত খরচের অনেকটাই ফারাক রয়েছে। বিশাল সংখ্যক মানুষ সেই জায়গারই হেলথকেয়ার সেবা বেছে নেয়, যে জায়গায় সে বসবাস করে। এর জন্য সকলকে সেই রাজ্য অথবা শহরের হেলথকেয়ার সংক্রান্ত খরচের কথা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য বিমা বেছে নেওয়া উচিত এবং সেই অনুযায়ী হেলথ পলিসি কভার করা উচিত। কারণ ভিন্ন রাজ্য অথবা ভিন্ন শহরের চিকিৎসার খরচ আলাদা। মেট্রো শহরের ক্ষেত্রে চিকিৎসার খরচ এক হলেও, অন্যান্য শহরে চিকিৎসার খরচ আলাদা হতে পারে। এর জন্য হেলথ পলিসি বেছে নেওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে দারুণ খবর, উত্তরবঙ্গের জন্য স্পেশ্যাল ট্রেন দিল পূর্ব রেল!
যদি এক্সক্লুসিভ রুম চান, সে-ক্ষেত্রে কীভাবে হেলথ পলিসি নির্বাচন করতে হবে
পলিসিবাজার ডট কমের (policybazaar.com)-এর প্রধান অমিত ছাবরা জানিয়েছেন যে, কেউ যদি হাসপাতালেই নিজেদের জন্য আলাদা রুম অথবা ডিলাক্স রুমের ব্যবস্থা করতে চান, তা-হলে ৫ লক্ষ টাকার কভারেজ খুব তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ কেউ যদি চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক্সক্লুসিভ রুমের ব্যবস্থা করতে চান, তা-হলে তাঁকে সেই অনুযায়ী হেলথ পলিসি বেছে নিতে হবে। এ-ক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে যে, সেই পলিসিতে রুমের ভাড়ার যেন কোনও সাব-লিমিট না থাকে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিমা বেছে নেওয়ার সময় দেখে নিতে হবে যে, সেই স্বাস্থ্য বিমার কভারেজে চিকিৎসার রুমের খরচের লিমিট কত। এ-ক্ষেত্রে হেলথ পলিসির কভারেজ যত বেশি হবে, প্রিমিয়ামে তত বেশি টাকা দিতে হবে।
হেলথ পলিসির ক্ষেত্রে বয়সের ভূমিকা -
যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের বেশি কভারেজ-যুক্ত হেলথ পলিসি বেছে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগ আরও বেশি দেখা যায়। উদাহরণ দিয়েই বলা যাক - এক জন ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তি এবং অন্য এক জন ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা এবং তাঁদের প্রয়োজনীয়তাও আলাদা আলাদা হয়। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য বিমার প্রয়োজনীয়তাও বাড়তে থাকে।
এর জন্য সিনিয়র সিটিজেনদের বেশি কভারেজ যুক্ত স্বাস্থ্য বিমা বেছে নেওয়া প্রয়োজন, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ-ক্ষেত্রে যাঁরা নিজের মা-বাবা স্বাস্থ্য বিমা পলিসিতে যুক্ত করতে চান, সেটা করা উচিত নয়। কারণ তাতে অনেক সময় দেখা যায় যে, সেই ক্লেম অনেক তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আসলে বয়স্কদের চিকিৎসার জন্যই মূলত সেই টাকা খরচ হয়। এর জন্য বয়স্ক মা-বাবার জন্য আলাদা করে বেশি টাকার কভারেজ যুক্ত স্বাস্থ্য বিমা করা প্রয়োজন।
