এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি (Rameswar Teli) রাজ্যসভায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘কর্মচারীরা বছরে ১৫ দিনের বেতনের সমান গ্র্যাচুইটি পাবেন। তা বাড়িয়ে এখনই ৩০ দিন করা হচ্ছে না’।
আরও পড়ুন: বিরাট মুনাফা, বদলে যেতে পারে জীবন,এই ৫ স্টকে বিনিয়োগ করুন!
পাবলিক সেক্টরে পাঁচ বছরের কম সময় কাজ করছেন এমন বেসরকারি এবং চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের গ্র্যাচুইটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি আগেই জানিয়েছেন, সামাজিক সুরক্ষা কোড ২০২০-র অধীনে কোনও কর্মচারির আকস্মিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা বা সময়ের আগেই চাকরি থেকে অবসর নিলে গ্র্যাচুইটির জন্য ৫ বছরের অবিচ্ছিন্ন পরিষেবা সম্পূর্ণ করার প্রয়োজন হবে না।
advertisement
কেন্দ্র বহুবার বলেছে যে কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি, ২০২০-র নিয়ম অনুযায়ী একজন কর্মচারী এক বছর কাজ করলেই গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী বলে বিবেচিত হবেন। তবে ১ এপ্রিল থেকে এই আইন কার্যকর হচ্ছে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমানে, কোনও কর্মী ৪ বছর ২৪০ দিন কাজ করলে তবেই তিনি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার দাবিদার হন।
আরও পড়ুন: PNB-র গ্রাহকদের জন্য বাম্পার খবর! বিনামূল্যে ৮ লক্ষ টাকার বিশাল সুবিধা
একই সঙ্গে ২০২২-এর ১ এপ্রিল থেকে প্রযোজ্য নয়া শ্রম আইনে কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পিএফ কাটার নিয়ম আনার কথা বলা হয়েছে। এতে সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার হাতে বেতনের পরিমাণ কমে যাবে। তবে তা বাস্তবায়ণ হবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি সরকার।
গ্র্যাচুইটি কী? গ্র্যাচুইটির হিসেব করার সময়ে যত বছর চাকরি করেছেন কর্মী, তার প্রতিটির জন্য ১৫ দিনের মূল বেতন ধরা হয়। আর মাস ধরা হয় ২৬ দিনে। ফর্মুলা এ রকম - (মাসিক মূল বেতন/২৬) x ১৫ x চাকরির মেয়াদ। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির যদি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার সময় মাসিক মূল বেতন ৫০,০০০ টাকা হয় এবং তিনি ১০ বছর চাকরি করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রাপ্য গ্র্যাচুইটি হবে: (৫০,০০০/২৬) x ১৫ x ১০= ২,৮৮,৪৬২ টাকা।