ডিজিটাল রুপি কী?
ডিজিটাল রুপি হল ফিয়াট কারেন্সি বা কাগজের মুদ্রার ডিজিটাল রূপ। নিত্যদিন যে নোট বা কয়েন বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তা ইস্যু করে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তাতে সরকারি সিলমোহর থাকে। এগুলো সবই লিগ্যাল টেন্ডার। ডিজিটাল রুপিও ইস্যু করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। দৈনন্দিন লেনদেনেও তা ব্যবহার করা যাবে। শুধু টাকাপয়সার যে স্পর্শসুখ তা মিলবে না। ডিজিটাল রুপি ব্যাপকভাবে চালু হলে ভবিষ্যতে নোট ছাপানো কমিয়ে দিতে পারে সরকার। কারণ ডিজিটাল রুপির আয়ুষ্কাল বেশি। এটা ছিঁড়ে ফেলা বা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা নেই। সহজভাবে বললে, এখন থেকে দু' ধরনের টাকা হবে, একটি ছাপা কাগজে। অন্যটি ডিজিটাল মাধ্যমে। দু’টি দিয়েই একই ধরনের কাজ করা যাবে।
advertisement
ডিজিটাল রুপি কীভাবে কাজ করবে?
ডিজিটাল মুদ্রা মূলত ভারতের সরকারি মুদ্রার এক ডিজিটাল টোকেন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেহেতু এটা কাগজের নোটের ডিজিটাল ফর্ম, তাই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা নতুন স্তরে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, আরবিআই কীভাবে ডিজিটাল রুপি বাস্তবায়ণ করতে চলেছে এবং এটিতে কী ধরনের ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার হবে তা এখনও জানা যায়নি। ডিজিটাল রুপি কীভাবে সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খাবে সে সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি কেন্দ্র।
বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে ডিজিটাল রুপি কি আলাদা?
বিটকয়েন, ম্যাটিক, ইথেরিয়ামের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি অনেকেই ব্যবহার করেন। সরকার যে সিবিডিসি বা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি আনতে চলেছে সেটিও ব্লক চেইন প্রযুক্তিতেই আনা হচ্ছে। কিন্তু দু'টির মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। সেটি হল, ডিজিটাল রুপি হল কাগজের নোটের মতোই কারেন্সি। এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের মতো জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি কখনও কারেন্সি নয়। তাতে সরকারি কোনও ছাপ নেই। এগুলো মূলত মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।