বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগাতে এবং ক্রমবর্ধমান পরিবহণ খরচে রাশ টানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। জে কে টায়ার জানিয়েছে, এতে দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদেরই সুবিধা হবে।
এ দিকে এই সংস্থা পণ্যের দাম আরও বাড়ানোর কথা ভাবছে বলেও জানা গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের শুরু থেকে প্রায় ৬-৭ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছিল। দাম আরও বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
advertisement
ভারতে জে কে টায়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি অনুজ কাঠুরিয়া (Anuj Kathuria) জানান, গত ১৮ মাসে পণ্যের দামের অভূতপূর্ব ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশের কাছাকাছি প্রভাব পড়েছে ব্যবসায় ৷ তারই খেসারত দিতে হয়েছে গ্রাহকদেরও। দাম বেড়েছে টায়ারের।
আরও পড়ুন- ‘OK’ শব্দের উৎপত্তি কীভাবে ? কারণ জানলে অবাক হবেন
বৃহস্পতিবার কলকাতায় সংস্থার এক অনুষ্ঠানে অনুজ কাঠুরিয়া বলেন, ‘গত অর্থবর্ষে ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি করতে হয়েছে এবং এমনকী চলতি অর্থবর্ষে আরও ৬-৭ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। হয়তো আরও একবার দাম বাড়াতে হবে আমাদের।’
তবে ব্যবসা বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী অনুজ। ভারতীয় বাজারে অল-হুইল ফিটমেন্ট টায়ারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সংস্থা পরবর্তী প্রজন্মের সেমি-লগ (Semi-lug) টায়ার জেটওয়ে JUC XM চালু করেছে। ইভেন-ওয়্যার (Even-wear) এই টায়ার এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে, তা দীর্ঘদিন চলে এবং পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয় হয়।
আরও পড়ুন- ট্যাটু করাতে চাইছেন? ভেবে দেখুন, ওটাই এবার সবার কাছে জানান দেবে শরীরের গোপন রোগভোগের!
JUC XM টায়ার ছাড়াও, সংস্থাটি দীর্ঘ দূরত্বের জন্য Jetsteel JDH-XM চালু করেছে। JDH-XM, এর অনন্য ট্রিড কম্পাউন্ড (Tread Compound) টায়ারের জীবৎকাল আরও বাড়াতে সাহায্য করবে বলে দাবি। এই প্রথম তাঁরা "জেট-ওসিটি" (Jet-OTC) প্রযুক্তির ব্যবহার করলেন বলেও জানিয়েছেন অনুজ কাঠুরিয়া।
অনুজ কাঠুরিয়া বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তির হাত ধরে ভারতে টায়ার শিল্পের বিস্তার ঘটছে। পূর্বাঞ্চলীয় বাজার আমাদের জন্য বড় সুযোগ দিতে চলেছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে খরচ কমানো যায়। তারই পাশাপাশি টায়ারের দীর্ঘজীবনের জন্যও আমরা কাজ করছি।
রাস্তার অবস্থা এবং পরিবহণযোগ্য FMCG, ই-কমার্স পণ্য, পচনশীল পণ্য এবং শিল্প পণ্যের চলাচল জন্য উপযোগী টায়ার তৈরি করতে চাইছে সংস্থা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২২ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে ৭.১ শতাংশের তুলনায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে সংস্থার EBITDA মার্জিনে উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সময়কালে তা ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে এই পরিস্থিতি যে খুব ভাল তা বলা যায় না। কারণ করোনা অতিমারীতে এক ধাক্কায় লাভের পরিমাণ অনেকটাই কমেছিল। তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দাম বৃদ্ধি, খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং আয়তনের বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন কারণের পরবর্তী ত্রৈমাসিকে আরও উন্নতির আশা করছেন বলে জানিয়েছেন অনুজ।