তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রাজস্ব ১৫.৫ শতাংশ বেড়ে ২৯,৩০৭ কোটি টাকা হয়েছে। EBITDA বেড়েছে ১০ শতাংশ, দাঁড়িয়েছে ১৫,৪৭৮ কোটি টাকায়। EBITDA মার্জিন ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫২.৮ শতাংশ হয়েছে। কোম্পানির মোট সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৪৮২.১ মিলিয়নে পৌঁছেছে, গত বছরের তুলনায় ২.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। ARPU (অ্যাভারেজ রেভেনিউ পার ইউজার) ১১.২২ শতাংশ বেড়ে ২০৩.৩ টাকা হয়েছে।
advertisement
বর্তমানে জিও-এর True5G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে ১৭০ মিলিয়ন ইউজার। মোট ওয়্যারলেস ডেটা ট্র্যাফিকের ৪০ শতাংশ আসছে এখান থেকে। এছাড়াও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিও সাবস্ক্রাইবাররা ৪৬.৫ বিলিয়ন গিগাবাইট ডেটা ব্যবহার করেছে।
জিও-এর তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রসঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি বলেন, “ডিজিটাল সার্ভিসের ব্যবসায় শক্তিশালী বৃদ্ধি হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর এবং গ্রাহকদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরির ফল। অনেক গ্রাহক ৫জি নেটওয়ার্কে আপগ্রেড করছেন। জিও-এর হোম ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও খুব দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। নতুন ভারতের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে এবং জিওকে বেড়ে উঠতে দেখে আমি আনন্দিত। জিও-এর টিম নিয়মিত পরিষেবা আপডেট এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার জন্য দূর্দান্ত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি বলেন, “ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জিও। প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য নিয়ে এসেছে বিশ্বের সেরা যোগাযোগ প্রযুক্তি। ৫জি-এর দ্রুত সম্প্রসারণ এবং টিয়ার ১ শহরের বাইরে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনকে আরও শক্তিশালী করেছে। জিও নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতেও নেতৃত্ব দিতে থাকবে এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত গড়ে তুলবে, যা সত্যিই রূপান্তরমূলক হবে।”
দেশের ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে জিও এয়ারফাইবার। বিশেষ করে শহর এবং শহরের বাইরে। জিও এয়ারফাইবারের নতুন গ্রাহকদের ৭০ শতাংশ এমন এলাকার বাসিন্দা যেখানে আগে ব্রডব্যান্ড পরিষেবাই ছিল না। জিও হোম কানেক্টের গতিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এই ফলাফল দেখে উৎফুল্ল বাজার বিশেষজ্ঞরা। প্রকাশ দেওয়ান বলছেন, “রিলায়েন্স জিও-এর এই পরিসংখ্যান খুবই চিত্তাকর্ষক সন্দেহ নেই। আমার মতে, ARPU-এর বৃদ্ধি ২০৩ টাকার বেশি হওয়া যথেষ্ট ইতিবাচক। দেখে হয়ত খুব বড় কিছু মনে হবে না। কিন্তু এই পরিবেশে এই বৃদ্ধি অবশ্যই উৎসাহব্যাঞ্জক।”