এই মর্মে আবেদন করে জেকেসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সিওসি ওই ৩৫০ কোটি টাকা আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এই বিশাল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য তাদের হাতে আরও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। আর মামলার শুনানির দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে ২১ অগাস্ট।
আরও পড়ুন– এই ৫ আচরণই চিনিয়ে দেবে অহঙ্কারীদের; সময় থাকতেই দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক!
advertisement
গত ১৯ অগাস্ট শুনানির সময় প্রবীণ আইনজীবী রবিশঙ্কর প্রসাদ জেকের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে জেকেসি ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারবে। আর বাকি ১০০ কোটি পরিশোধ করবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই। জেকেসি-র মতে, সিওসি-র পক্ষে একটি ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি রয়েছে, যা যা মোট ৩৫০ কোটি টাকার চাহিদা পূরণ করতে পারে। শুধু তা-ই নয়, বিমান সংস্থার মালিকানা যতটা সম্ভব নিশ্চিত করার জন্য সিওসি-র কাছে দাবি জানিয়েছে জেকেসি। তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, জেট এয়ারওয়েজের কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে অঙ্গীকারবদ্ধ তারা।
আরও পড়ুন- মঙ্গলের কন্যা রাশিতে প্রবেশ, এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা!
অন্য দিকে সিওসি-র হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এন ভেঙ্কটরমন। তাঁর বক্তব্য, ৩৫০ কোটি টাকা পরিশোধ তো ইক্যুইটি শেয়ার হস্তান্তর করার প্রথম ধাপ মাত্র। তিনি আদালতে জানিয়েছেন যে, ইক্যুইটি শেয়ার হস্তান্তরের আগে জেকেসি-কে আরও অনেক কাজ করতে হবে। ভেঙ্কটরমনের মতে, রেজোলিউশন প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্যই ১৫০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি কার্যকর করা হয়েছিল। তবে সিওসি জেকেসি-কে যে ৩৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিল, তার একটি অংশ হিসেবে এই পরিমাণ অর্থকে বোঝানো যায় না।
এদিকে আবার জেট এয়ারওয়েজের কর্মীরা ট্রাইব্যুনালের কাছে জানিয়েছেন যে, জেকেসি এখনও তাঁদের পাওনা-গণ্ডা মেটাতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে জেকেসি-র আবেদনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সেটা পরবর্তী শুনানিতেই পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে।