সম্প্রতি এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ব্র্যান্ডের মশলায় রাসয়নিক ইটিও (ইথিলিন অক্সাইডের অবশিষ্টাংশ) রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে হংকং এবং সিঙ্গাপুর। ভারতের স্পাইস বোর্ড সিঙ্গাপুর এবং হংকং-এ রফতানি করা মশলা পরীক্ষা করে দেখছে। কোনও গরমিল পাওয়া গেলে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের কামরায় কত ডিগ্রিতে সেট করা হয় AC-র তাপমাত্রা? বেশিরভাগ মানুষ জানেনই না এই তথ্য
advertisement
মশলা কোম্পানিগুলির উপর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি: ভারতের স্পাইস বোর্ড সিঙ্গাপুর থেকে হংকংয়ে রফতানি করা মশলার সমস্ত চালানের বাধ্যতামূলক ETO পরীক্ষার ঘোষণা করেছে।
এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ব্র্যান্ডের মশলায় রাসায়নিক ইটিও (ইথিলিন অক্সাইড অবশিষ্টাংশ) পাওয়ার পর হংকং এবং সিঙ্গাপুর আমদানি বন্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় মিলবে ৭৪ লাখ টাকা, এভাবে আবেদন করুন আজই
বর্তমানে ভারত থেকে লঙ্কা ও মেন্থা তেলের মতো মশলা সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়। তবে যেসব মশলায় রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো খুব কম পরিমাণেই রফতানি করা হয়।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত থেকে বছরে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের মশলা রফতানি হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্পাইস বোর্ড এই বিষয়ে রফতানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
হংকং এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মশালা, এই দুই ব্র্যান্ডের কিছু পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এই পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে এমডিএইচ মাদ্রাজ কারি পাউডার, এমডিএইচ সম্বর মশালা মিক্স পাউডার, এমডিএইচ কারি মিক্স মশালা পাউডার এবং এভারেস্ট ফিশ কারি মশালা পাউডার। এর আগে সিঙ্গাপুরও এসব পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ভারতে খাদ্য সামগ্রীতে ইথিলিন অক্সাইড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফৌজদারি মামলারও বিধান রয়েছে।
কেন্দ্র সরকার বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্পাইস বোর্ডের কাছে পণ্যে ক্ষতিকর উপাদান যোগ না করা হয়, সেই বিষয়ে সচেতনতা প্রচারের আবেদন জানিয়েছে।
স্পাইস বোর্ড ইথিলিন অক্সাইডকে ১০.৭ সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় দাহ্য, বর্ণহীন গ্যাস হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে। এটি জীবাণুনাশক, জীবাণুমুক্ত এজেন্ট এবং কীটনাশক হিসাবে কাজ করে।
এটা চিকিৎসা সরঞ্জামকে জীবাণুমুক্ত করতে এবং মশলায় মাইক্রোবিয়াল দূষণ কমাতে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার ইথিলিন অক্সাইডকে ‘গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে।