আরও পড়ুন: ১১৪ ডলারের কাছাকাছি ক্রুডের দাম, তাহলে কী ফের বাড়বে পেট্রোল-ডিজেলের দাম....
বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী, সুদের হারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কঠোর অবস্থান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করার বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে বিনিয়োগকারীরা। এই দুই উদ্বেগের কারণে সোনা থেকে অর্থ তুলে নিয়ে মার্কিন ডলার এবং আমেরিকান বন্ডে বিনিয়োগ করছেন তাঁরা। ডলারের সূচকের বিষয়ে তাঁরা মনে করেন, দুই দশকের নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর পরও ডলারের দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বল্প মেয়াদের স্পট গোল্ডের দাম নামতে পারে আউন্স প্রতি ১৭৮০ ডলারে এবং একই সময়ে, MCX-এ সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম যেতে পারে ৪৮৮০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া যাঁরা সোনায় বিনিয়োগ করছেন বিশেষজ্ঞরা তাঁদের কিছু সময় অপেক্ষা করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা স্পট মার্কেটে ১৭৮০ ডলার এবং MCX-এ ৪৮৮০০ টাকার স্তরে সোনা কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বিনিয়োগকারীদের। সোনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও ইতিবাচক রেখেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অপেক্ষার দিন শেষ? এই দিনই সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে আসছে ২,০০০ টাকা
রেলিগেয়ার ব্রোকিং লিমিটেড কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সি রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেব বলেছেন, বৃহত্তর আর্থিক বাজারের ঝুঁকি প্রভাবিত করেছে সোনাকেও। এর ফলে ২.৮৬ শতাংশ কমের সঙ্গে তিন মাসে সোনার দাম সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে। টানা চার সপ্তাহ ধরে হ্রাস পাচ্ছে সোনার দাম। দুই দশকের মধ্যে ডলার সূচকের সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন হল সোনার দাম কমার প্রধান কারণ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চের তুলনায় কিছুটা কমেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্য সূচক। যদিও এপ্রিল মাসে হওয়া ৮.৩ শতাংশের বার্ষিক বৃদ্ধির সঙ্গে এটি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। যেহেতু এটি খুব বেশি, তাই বাজার ইউএস ফেডের জুনের বৈঠক অনুযায়ী আবারও সুদের হারে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির আশা করছে।