সেটা কীভাবে? গোল্ড লোন। বাজারে এমন অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে যারা সোনার গয়নার বদলে ঋণ দেয়। বোঝাই যাচ্ছে, ঋণের গ্যারান্টি হিসেবে সোনার গয়না রাখা হয়। সোজা কথায়, স্বর্ণ ঋণ প্রকল্পের অধীনে, এই প্রতিষ্ঠানগুলি মূল্যবান ধাতু বন্ধক রেখে সহজে ঋণ দেয়। একই সময়ে, গ্রাহকদের জন্য সোনার ঋণ নেওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। এই কারণেই স্বর্ণ ঋণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এখানে এমন কিছু পরিস্থিতির উল্লেখ করা হল যখন চোখ কান বন্ধ রেখে স্বর্ণ ঋণ নেওয়ার কথাই ভাবা উচিত।
advertisement
ব্যবসা বাড়াতে: ব্যবসা বাড়াতে অর্থের প্রয়োজন হলে কোথাও না কোথাও থেকে ঋণ নিতেই হয়। মাথায় রাখতে হয় যাতে ব্যবসার ক্ষতি না হয়, কিন্তু ঋণও মেলে। এই পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে পারে গোল্ড লোন।
আরও পড়ুন: এবার এফডি-তে বিশেষ এই সুবিধা দিতে চলেছে PNB, কীভাবে আপনিও হবেন লাভবান জেনে নিন
ফি জমা দিতে: অনেক সময় ভাল কলেজে ভর্তির পরেও ফি-র টাকা জমা দিতে হিমশিম খেতে হয়। ক্রেডিট স্কোর, মাসিক আয়ের মতো অনেক কারণে শিক্ষা ঋণ নেওয়াও কঠিন। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে গোল্ড লোন। পরিবারের কোনও সদস্য একটি নামি কলেজে ভর্তি হন, তবে সেই কোর্সের ফি পরিশোধের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য স্বর্ণ ঋণ একটি দুর্দান্ত উপায়। স্বর্ণ ঋণের সুদের হার অন্যান্য ঋণের তুলনায় কম। একই সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণ পরিশোধে অনেক সুবিধা দেয়।
আরও পড়ুন: পরিচিত কেউ কাজ করেন? বিপুল কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে এই সংস্থা
চিকিৎসা খরচ: জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বা পরিবারের সদস্যের হঠাৎ গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে, চিকিৎসার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দরকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে গোল্ড লোন কাজে আসতে পারে। কম সুদে পাওয়ার পাশাপাশি ঋণদাতাকে নিরাপত্তাও দেয়। অতএব, হাসপাতালের খরচ মেটাতে এটা ভাল বিকল্প।
বিয়ের খরচ: বিয়ে মানেই জাঁকজমক। কখনও কখনও এর জন্য টাকাও ধার করতে হয়। গোল্ড লোনের মাধ্যমে খুব সহজেই বিয়ের যাবতীয় খরচ মেটানো যায়। প্রক্রিয়াও সহজ। ঝামেলা নেওই বললেই চলে, কাগজপত্রও খুব কম লাগে। অতএব, এই পরিস্থিতিতে গোল্ড লোন নেওয়াই সর্বোত্তম বিকল্প।