আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতিতেও ২২০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিয়েছে এই মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড
সোনার দাম কীভাবে প্রভাবিত হয়েছে?
মে মাসে ইউএস কনজিউমার প্রাইস ইনফ্লেশন (Consumer Price Inflation / CPI) ৮.৭ শতাংশ তথা ৪০ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছানোর সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে উচ্চতর হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। একাধিক কারণে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র বৃদ্ধি হচ্ছে। এর আগে বিশ্বের কিছু অংশে কোভিড সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন বন্দর বন্ধ ও বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়। এছাড়া মহামারী চলাকালীন কিছু সরকার অর্থনীতিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য চেক হস্তান্তর করে। এর প্রভাবে সীমাবদ্ধ সরবরাহের মধ্যে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে অপরিশোধিত তেল ও কৃষি পণ্যের মতো কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পায়, যা মুদ্রাস্ফীতির একটি বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি কমবে বলে অনুমান করার কারণে দুই বছরে প্রথম বার ১০ বছরের ট্রেজারি ইনফ্লেশন প্রোটেক্টেড সিকিউরিটিজ (TIPS) ইতিবাচক হয়েছে।
advertisement
বিপরীত পরিস্থিতি হওয়া সত্ত্বেও ডলারের দাম ২০২১ সালের ১৬৭৭ ডলারের সর্বনিম্ন থেকে এখনও ৯ শতাংশ উপরে রয়েছে। দেশীয় মুদ্রায় আরও ভালো পারফর্ম করেছে সোনা। ভারতীয় মুদ্রার সাপেক্ষে, ২০২১ সালের ৪৩৯৯৪ টাকা প্রতি ১০ গ্রামের সর্বনিম্ন স্তর থেকে ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সস্তায় সোনা কেনার আপনার জন্য রয়েছে দুর্দান্ত সুযোগ
মুদ্রাস্ফীতি সোনার দামকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?
সোনার সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির সম্পর্ক বুঝতে গেলে প্রথমে সোনার দাম এবং ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে ১০০ সূচকের CPI চার্ট (চার্ট ১) দেখতে হবে। এই চার্ট দেখে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, সোনা উল্লেখযোগ্য ভাবে মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। অন্য দিকে আবার, দীর্ঘমেয়াদী চার্ট (চার্ট ২) অনুযায়ী, ২০১০ থেকে বিভিন্ন কারণে সোনার দাম কিছুটা কমে যাওয়া সত্ত্বেও সামগ্রিক ভাবে সোনার দাম মুদ্রাস্ফীতির উপরেই থেকেছে।
যদি বিগত ৩০ বছরে সোনার সঙ্গে ইক্যুইটি এবং ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনা করা যায়, তবে দেখা যাবে যে, সোনা সব সময়ই তার সূচকের অগ্রগতি বজায় রেখেছে এবং অফিশিয়াল মুদ্রাস্ফীতির থেকে সব ক্ষেত্রেই উপরে থেকেছে। অন্য দিকে, ইক্যুইটি দীর্ঘমেয়াদের ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রায় রিটার্ন প্রদান করেছে। তবে ইক্যুইটিতে ঝুঁকি বেশি, যা সোনায় তুলনামূলক ভাবে কম।
আরও পড়ুন: কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন ? কৃষকদের জন্য রয়েছে আরও বড় আপডেট
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে দেখা যাবে যে, ফেড (Fed)-এর ক্ষমতা মুদ্রাস্ফীতি রোধে চাহিদা কমানো পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চিনের জিরো-কোভিড নীতির ফলে সৃষ্ট সাপ্লাই চেনের উপর চাপ কমাতে ফেড কোনও রকম সাহায্য করতে পারবে না।
এছাড়া, মন্দার ঝুঁকি ধীরে ধীরে বাড়ছে। যার ফলে ফেড আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যদি আর্থিক পরিস্থিতি একই থাকে বা মন্দা না আসে, তবে মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশার পুনঃমূল্যায়ন করা হতে পারে, যার ফলে সোনার মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।