আরও পড়ুন: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অটো রিনিউয়াল কতটা কার্যকরী? দেখে নিন এক নজরে!
করোনা মহামারীর সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের ১ এপ্রিল কেউ যদি লাম্প সাম প্রায় ১২,০০০ টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকে তাহলে সেই টাকার পরিমাণ ২০২১ সালের ১ এপ্রিল হয়েছে প্রায় ২১,৭৯৮ টাকা। অপরদিকে সেই একই বিনিয়োগ কেউ যদি সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে করে থাকে অর্থাৎ ১২ মাস ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করে থাকে, তাহলে ১২ মাসের শেষে সেই টাকার পরিমাণ হবে প্রায় ১৫,৯০০ টাকা। মর্নিংস্টার এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী এটি নির্ধারিত করা হয়েছে। একইভাবে ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর কেউ যদি লাম্প সাম প্রায় ১২,০০০ টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকে তাহলে সেই টাকার পরিমাণ ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর হয়েছে প্রায় ৫,৫৪২ টাকা। সুতরাং দেখাই যাচ্ছে যে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন-মাত্র ২৫০০০ টাকা বিনিয়োগ! এই ব্যবসায় প্রতি মাসে আয় হবে ২ লাখ টাকা
মর্নিংস্টার এসআইপি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী কেউ যদি ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে থাকে, তাহলে ২ বছর পর তার বিনিয়োগের পরিমাণ ২৪,০০০ টাকা। সেই ২ বছরে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে ২৪,০০০ টাকা হয়েছে প্রায় ৩০,৩৮৯ টাকা। অপরদিকে লাম্প সাম ২৪,০০০ টাকা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করে সেই টাকার পরিমাণ হয়েছে ২১,২৮৫ টাকা।
আরও পড়ুন: মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন সুনিশ্চিত! জেনে নিন কী ভাবে!
এর থেকেই পরিষ্কার যে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে লম্বা সময় ধরে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করে গেলে ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কম সময়ে বেশি রিটার্ন পাওয়ার আশায় বিনিয়োগ করলে সবসময় ভালো রিটার্ন না-ও পাওয়া যেতে পারে।